চট্টগ্রাম: সীতাকুণ্ডের বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামের সুনিল চন্দ্র নাথ। ২০ শতক জমিতে পানের আবাদ করেছেন তিনি।
সুনিল বলেন, আমার একটি মাত্র ছেলে চাকরি করে, মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। আমি এটা করছি কারণ এটা আমার কাছে চাকরির মতো।
ধর্মপুর গ্রামের প্রিয় লাল নাথ ও সাধন চন্দ্র নাথও পান চাষ করে স্বাবলম্বী। তারা বলছেন, আমাদের পূর্বপুরষও পান চাষ করতো। আমরাও করি। আগে কম দামে শ্রমিক সহজলভ্য ছিল। বর্তমানে শ্রমিক সংকটের কারণে দিন দিন আবাদের পরিমাণ কমে গেছে। পান চাষ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে ভালো ভাবেই দিন যাচ্ছে আমাদের।
পানচাষি শ্রীধাম নাথ বলেন, বারৈয়াঢালার পান ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে পাঠানো হয়। পাইকাররা আগ্রহ নিয়ে চাষিদের কাছ থেকে পান কিনে থাকেন। পানের দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। তাই অনেকেই নতুনভাবে পান চাষের দিকে ঝুঁকছেন।
সীতাকুণ্ড উপজেলার বারৈয়াঢালায় সব চেয়ে বেশি পান চাষ হয়। পূর্বপুরুষের ধারা অব্যাহত রাখতে অনেকেই যুক্ত আছেন পান চাষে। উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় পানের আবাদ হলেও বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে পান চাষ চোখে পড়ার মতো।
সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এখানে মোট ৫০ হেক্টর জমিতে পানের আবাদ হয়। ২৫০ জন কৃষক বছরে ৬৫০ মেট্রিক টন পান উৎপাদন করেন। যার অধিকাংশই আবাদ হয় উপজেলার বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, প্রত্যেক এলাকায় তাদের একজন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আছেন। চাষিদের কাছে তার নাম্বারও থাকে। কৃষি কাজে উদ্বুদ্ধ করতে আমরা সর্বোচ্চ সেবাটুকু কৃষকদের দিয়ে থাকি। বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পানচাষিদের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা তাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে উৎসাহিত করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
বিই/পিডি/টিসি