চট্টগ্রাম: পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তর করতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন যৌথভাবে কাজ করছে। আমরা পুরো সৈকত এলাকাকে পরিচ্ছন্ন, আলোকিত, নিরাপদ করতে কাজ করছি।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন পতেঙ্গা সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য সৌন্দর্য বর্ধন ও আনুষঙ্গিক কাজের উদ্বোধনকালে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জিডিপি মূলত তিনটি সেক্টরের ওপর নির্ভরশীল। চার নম্বর আরেকটি সেক্টরকে কিন্তু আমরা চট্টগ্রামের মাধ্যমে উঠিয়ে আনতে পারি। সেটা হচ্ছে পর্যটন খাত। যে পর্যটন খাত দিয়ে কিন্তু আমাদের আশপাশের সার্কভুক্ত সব দেশ সমৃদ্ধশালী হয়েছে। অথচ এই পর্যটন খাতটা কিন্তু আমরা সেভাবে বিকশিত করতে পারিনি। চট্টগ্রামকে ঘিরেই কিন্তু বাংলাদেশের পর্যটনখাত নির্ভরশীল। কারণ আমরা যদি চট্টগ্রামের পর্যটনখাতের বিকাশ ঘটাতে পারি তাহলে একদিকে দেশের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে, অন্যদিকে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে। চট্টগ্রামের অবকাঠামো যদি আমরা ডেভেলপ করতে না পারি তাহলে আমরা বাংলাদেশকে বাঁচাতে পারবো না। দেশের অর্থনৈতিক যে একটা চাকা তা সচল করার জন্য চট্টগ্রামকে সুন্দর করতে হবে। এক্ষেত্রে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈতক খুলতে পারে সম্ভাবনার দুয়ার।
অর্থনীতির বিকাশের স্বার্থেই চট্টগ্রামের উন্নয়ন প্রয়োজন মন্তব্য করে মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের পর্যটন শিল্পটাকে চিন্তা করে আমাদের কাজ করতে হবে। এখানে স্পেশাল ইকোনমিক জোন আছে, এখানে কনটেইনার ইয়ার্ডগুলো আছে। এখানে আপনার বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির একটা ব্যাপার আছে এবং এখানে ট্রেড সেন্টার আছে। ব্যবসায়িক হাব হিসেবেও কিন্তু চট্টগ্রাম অত্যন্ত পরিচিত। কাজেই সব মিলিয়ে ভৌগোলিক কারণে আজকে চট্টগ্রাম কিন্তু অত্যন্ত ইম্পর্টেন্ট একটা জোনে আছে। সিটি গভর্মেন্ট না থাকায় আমাদের যে লিমিটেশন সেই লিমিটেশন জয় করতে হলে আমাদের আন্তরিক হতে হবে। বর্তমানে, চসিক, সিডিএ এবং জেলা প্রশাসনের মধ্যে যে সহযোগিতার মনোভাব আছে তা নিয়ে আমরা চট্টগ্রামের উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে চাই।
বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হওয়া চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে সহযোগী হবে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে সৌন্দর্য বর্ধনের অংশ হিসেবে উচ্ছেদ করা হয়েছে ৩৩টি দোকান। নতুন করে দৃষ্টিনন্দন বাতি লাগানোর পাশাপাশি, বাগান ব্লক নির্মাণ, বসার স্থানে নতুন রং, সবুজায়ন এবং পরিচ্ছন্নতাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নগরের এই অন্যতম পর্যটন স্পটকে আরও আকর্ষণীয় করতে ও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে জন্য ইতোমধ্যে সৈকতের এক কিলোমিটার এলাকা সাজানো হয়েছে নতুন রূপে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম এবং চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমসহ বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি