ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ পৌষ ১৪৩১, ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ রজব ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জলাবদ্ধতা নিরসনে ভূমিকা রাখবে খাল খনন: মেয়র শাহাদাত 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪
জলাবদ্ধতা নিরসনে ভূমিকা রাখবে খাল খনন: মেয়র শাহাদাত  গুপ্ত খাল খনন কার্যক্রম পরিদর্শ ন করেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত

চট্টগ্রাম: নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন গুরুত্বপূূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) নগরের পূর্ব কাঠগড় আরব আলির দোকান থেকে কন্ট্রোলের মোড় পর্যন্ত গুপ্তখাল পুনঃখননের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র।

মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের অনেক সমস্যা আছে, অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতার কারণে  বৃষ্টি বেশি হলে মানুষ বের হতে পারে না।

জলমগ্ন থাকে শহর। মানুষ খুব অসহায় অবস্থায় থাকে।

সিডিএ’র প্রকল্প এবং স্লুইস গেইট নির্মাণ করার প্রেক্ষিতে গুপ্ত খালটা ভরাট হয়ে গেছে। এই খালটাকে এখন আমাদের পুনরুদ্ধার করতে হবে। গুপ্তখালের যে সমস্যাগুলো আপনারা বলেছেন আমি লিখে নিয়েছি ক্রমান্বয়ে এই সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে।  আমাদের এই খাল খনন কর্মসূচি এটা বিএনপির কর্মসূচি। একসময় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কৃষকের আইলে আইলে, শ্রমিকের বস্তিতে বস্তিতে গেছেন।  উৎপাদনমুখী রাজনীতি করেছেন।  যার কারণে উনার সময়ে গার্মেন্টস সেক্টর, মানবসম্পদের পাশাপাশি কৃষি খাতের বিকাশ ঘটেছে৷ তিনি গ্রামেগঞ্জে গিয়ে খাল খনন কর্মসূচি করেছেন। নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন গুরুত্বপূূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাই জলাবদ্ধতা নিরসণে সবগুলো খাল খনন করে জলপ্রবাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

চট্টগ্রামের উন্নয়নে দুর্নীতি বন্ধ করা প্রয়োজন মন্তব্য করে মেয়র বলেন, গত ১৬ বছর কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে দেখেন। খাল খননের কাজটি করার কথা ছিল সিটি করপোরেশনের। কিন্তু সিডিএ কাজটি নিয়ে নিয়েছে।  আবার কাজ শেষ হলে কিন্তু এটা বুঝিয়ে দিবে কাকে? সিটি করপোরেশনকে।  তারা প্রায় ৩২ টার মত স্লুইস গেট করেছে। এগুলো কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় অনেক বেশি। এটা কিন্তু সিটি করপোরেশনকে করতে হবে। বর্ষাকালে আমরা বলছি ওনাদেরকে স্লুইস গেটগুলো খুলে দিতে। স্লুইস গেট এখন বন্ধ আছে। খুলে না দিলে জলাবদ্ধতা বাড়বে। আর আমরা এখন খাল খনন কর্মসূচির উপর জোর দিচ্ছি কারণ সামনে বর্ষাকাল। আমরা যত বেশি খাল খনন করতে পারব জলাবদ্ধতা তত কম হবে।  সিডিএ'র জলাবদ্ধতা  প্রকল্প ২০২৬ সালে  শেষ হবে।  আমরা মনে করি এই দুই বছর আমাদের জন্য একটু ক্রিটিক্যাল টাইম। এই দুই বছর আমরা যত বেশি পারি খাল খনন করব আর নর্দমা পরিষ্কার রাখবো। কোনো ধরনের প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন, কর্কশিটসহ অপচনশীল জিনিস খাল-নালায় ফেলব না। ফেললে জলাবদ্ধতা হবে।  

মেয়র বলেন, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে আন্তর্জাতিক পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণের কার্যক্রম  আমরা সফট ওপেনিং করে দিয়েছি। একটা সুন্দর প্ল্যান নিয়ে আমরা এগোচ্ছি। এই প্ল্যান যাতে সুন্দর মতে আমি বাস্তবায়ন করতে পারি সেজন্য আপনারা আমার সঙ্গে থাকবেন। এই শহরটা আমার এক শহর নয়। এই শহর আপনাদের সবার।  

সভার পর মেয়র খাল খনন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীদের হাজিরা যাচাই করেন। এ সময় মেয়রের সঙ্গে ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোঃ শরফুল ইসলাম মাহি, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী (মারুফ) সহ কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।  

গুপ্ত খাল পুনঃখননের কার্যক্রম উপলক্ষে আয়োজিত সভায় পতেঙ্গা হালিশহর আঞ্চলিক শ্রমিক দলের সভাপতি মোহাম্মদ আবু জাফরের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কামাল উদ্দিন, মো. সেলিম, আবু জাফর, মো. হারুন, শাহাবুদ্দিন, ইকবাল হোসেনসহ  বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪
পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।