ঢাকা, রবিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নির্বাচন নিয়ে কালক্ষেপণ উচিত হবে না: সালাহউদ্দিন 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫
নির্বাচন নিয়ে কালক্ষেপণ উচিত হবে না: সালাহউদ্দিন 

চট্টগ্রাম: সমালোচনা করে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সংস্কার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় দীর্ঘায়িত করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে।

ভোটার তালিকাসহ নির্বাচন  সম্পর্কিত অন্যান্য কাজ চলমান। নির্বাচনী আইন সংস্কার কাগুজে ব্যাপার, তাই সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বেশি সময় লাগার কথা নয়।
আগামী জুলাই-আগস্টের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব। কোন একটি মহলকে রাজনৈতিক দল গঠন করার সুযোগ দেওয়ার জন্য, তাদেরকে অবৈধভাবে সরকারি সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে কালক্ষেপণ করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত হবে না।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে নগরের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মহানগর বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এক এগারো সরকারের সঙ্গে শেখ হাসিনার অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের কারণে দেশে একদলীয় শাসনের পথ সুগম হয় জানিয়ে সাবেক মন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে শেখ হাসিনা সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের কবর রচনা করেছিল। শেখ হাসিনা এদেশে সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্র ও সংসদীয় স্বৈরতন্ত্র প্রবর্তন করতে চেয়েছিলেন এবং প্রায় সফল হয়ে গিয়েছিলন। তাই সে রকম একটি একনায়কতান্ত্রিক সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে বাংলাদেশ হতে চিরতরে উৎখাত করতে হলে বিদ্যমান সংবিধানে গণতান্ত্রিক সংস্কার করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের জন্ম হয়েছিল বলেই বাকশালের কথা বলে যে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয় সে গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করা সম্ভব হয়েছিলো। বাংলাদেশের প্রতিটি সাংবিধানিক, রাষ্ট্রীয় ও গণতান্ত্রিক সংকটে কেবলমাত্র শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ভূমিকাই এদেশের মানুষ দেখেছে।

মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শামসুল আলম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫ 
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।