চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সিটি কর্পোরেশনসহ অন্যান্য সেবা সংস্থার সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রামের দক্ষিণ আগ্রাবাদ এলাকায় মহেশ খাল খনন কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের পরেও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায়নি। তাই প্রথমে দৃশ্যমান উন্নতি নিশ্চিত করতে হবে।
আগামী মে মাসের মধ্যে জলাবদ্ধতা প্রকল্প পুরোপুরি শেষ না হলেও উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে জানিয়ে তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ওয়াসা, সিটি কর্পোরেশন এবং সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সমন্বয়ে এই সমস্যা সমাধানে কাজ করা হবে। খালের পানি যাতে দূষিত না হয়, সে বিষয়ে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে হবে।
প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন খতিয়ে দেখবে বলেও জানান তিনি।
এসময় বিদ্যুৎ ব্যবহারে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন জ্বালানি উপদেষ্টা। তিনি বলেন, গরমের মাত্রা ও বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে লোডশেডিংয়ের পরিস্থিতি নির্ধারিত হবে। সরকার এলএনজি আমদানি বৃদ্ধি, ট্রান্সফরমার মেরামত এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের উন্নয়নে কাজ করছে। বিদ্যুৎ বিতরণের ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা হবে। বিদ্যুতের অপব্যবহার রোধ করতে হবে। অবৈধ সংযোগ বন্ধ করতে হবে।
এসময় চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, সিডিএ’র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, সিডিএ’র খাল খনন প্রকল্পের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে বাঁশবাড়িয়া ঘাট হয়ে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে ঝটিকা সফরে এসে ফেরি চলাচলের অবকাঠামোগত কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং সড়ক পরিবহন ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এসময় আগামী ২৪ মার্চ ফেরি চালুর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২৫
এমআর/টিসি