চট্টগ্রাম: আমরা চাইলে হকারদের একেবারে উচ্ছেদ করতে পারতাম, কিন্তু তাদেরও পরিবার আছে। তাই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তারা বিকেল ৩টা থেকে রাত ১১ পর্যন্ত বসতে পারবেন।
লালদীঘি পাড়ের সিটি করপোরেশন কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, চট্টগ্রাম শাখার নেতৃবৃন্দর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন মেয়র।
চট্টগ্রামকে ক্লিন, গ্রিন ও হেলদি সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে নগরবাসী, ব্যবসায়ী ও প্রশাসনের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন উল্লেখ করে মেয়র বলেন, একটি নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও জলাবদ্ধতামুক্ত শহর গড়তে হলে সবাইকে সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে।
নগরের বিভিন্ন এলাকায় খোলা ম্যানহোল, চুরি হয়ে যাওয়া ঢাকনা ও স্ল্যাব, খালের পাশে সুরক্ষার অভাব –এসব বিষয় নগরবাসীর জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। আপনারা এসব চোখে পড়লেই আমাদের জানাবেন। আমরা ইতোমধ্যে ইঞ্জিনিয়ার, পরিচ্ছন্নতা সুপারভাইজার এবং রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ দিয়েছি। বৃহস্পতিবারের মধ্যে সমন্বিত রিপোর্ট হাতে পাবো।
প্রতিটি দোকানে ময়লা ফেলার জন্য বিন দেওয়া হবে। ব্যবসায়ীরা নিজেদের দোকানের সামনে বিনে ময়লা ফেলবেন। ময়লা রাস্তায় ফেললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা নির্দেশনা মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম একটি সম্ভাবনাময় শহর। এখানে বন্দর, খাতুনগঞ্জ, আগ্রাবাদ, ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টার রয়েছে। এ শহর বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। তাই সবাইকে নিয়ে আমরা একটি পরিচ্ছন্ন, পরিকল্পিত ও আধুনিক শহর গড়ে তুলতে চাই।
ছালামত আলীর সভাপতিত্বে সাজেদুল আলম মিল্টনের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় মহাসচিব জহিরুল হক ভূঁইয়া।
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটি সহ-সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, আব্দুল কাইয়ুম তালুকদার মনি, আবদুর রাজ্জাক, সেলিম নূর, হারুনুর রশীদ, আহম্মদ রশীদ আমু, আবুল কাশেম, আফসার হোসেন জসিম, জাকির হোসেন, মো. রফিক, গোলাপুর রহমান, ফরিদ আহমেদ, আবদুল গফুর ফন্টি, আবু তাহের, ইয়াছিন মো. মহিউদ্দিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৫
এআর/পিডি/টিসি