চট্টগ্রাম: প্রতিবছরের মতো এবারও জব্বারের বলীখেলার বৈশাখী মেলায় পণ্যসামগ্রী নিয়ে আসতে শুরু করেছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের বেপারী, দোকানি ও গৃহস্থরা। পোড়ামাটির ফুলের টব, জগ, গ্লাস, শোপিস, হাতপাখা, ফুলের ঝাড়ু, শীতল পাটি, দা, বঁটি, খেলনা, টমটমের গাড়ি, শিমুল তুলা, সংসারের টুকিটাকি থেকে শুরু করে ফলসহ গাছের চারা বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন তারা।
ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলীখেলারর ১১৬তম আসর লালদীঘি মাঠে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল চারটায়। এ উপলক্ষে তিন দিনের মেলা শুরু হবে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল)।
সরেজমিন দেখা গেছে, পছন্দের জায়গায় স্টল দিতে বাঁশখালী, চন্দনাইশসহ বিভিন্ন উপজেলার ফুলঝাড়ু, হাতপাখা, মাটির তৈজসপত্র বিক্রেতারা কয়েকদিন আগেই চলে এসেছেন। সাভার, গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মৃৎশিল্পীরা ট্রাকে ট্রাকে পোড়ামাটির সামগ্রী নিয়ে এসেছেন মেলায়। তারা মাটির তৈরি ফুলদানি, ব্যাংক, কলসিতে রং করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিক্রেতাদের শঙ্কা বৃষ্টি, কালবৈশাখী ঝড় ও কয়েক স্তরের চাঁদাবাজি নিয়ে।
ডালিম হোটেলের সামনের সড়কে কথা হয় সাভারের নবীনগর থেকে আসা সহদেব পালের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মাঝখানে কয়েক বছর বাদে তিন যুগ ধরে এ মেলায় আসছি। এবার ৪০ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে দুই ট্রাক পোড়ামাটির জিনিস এনেছি বিক্রির জন্য। ৮-১০ বিক্রয়কর্মী কাজ করছে। এবার কালবৈশাখী ঝড়ের শঙ্কা আছে। কেমন বিক্রি হবে জানি না। তার কাছে রয়েছে ৬ ফুট উঁচু মাটির তৈরি টব।
বললেন, এ টব আর কারও কাছে পাবেন না। শুধু আমরাই বানাই।
বলীখেলার মূল পর্বের উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাসিব আজিজ। বিজয়ী বলীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি থাকবেন বলীখেলার পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের কর্মকর্তারা।
বলীখেলা আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব, আবদুল জব্বার সওদাগরের নাতি শওকত আনোয়ার বাদল জানিয়েছেন, বলীখেলার কমিটি কোনো স্টলমালিক বা বিক্রেতার কাছ থেকে চাঁদা বা ভাড়া নিচ্ছে না।
যদি কেউ চাঁদাবাজি করে পুলিশকে সোপর্দ করে দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৫
এআর/পিডি/টিসি