ঢাকা, সোমবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩২, ০৫ মে ২০২৫, ০৭ জিলকদ ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কাঁথা-বালিশ নিয়ে হলগেটে চবি শিক্ষার্থীরা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:২৭, মে ৪, ২০২৫
কাঁথা-বালিশ নিয়ে হলগেটে চবি শিক্ষার্থীরা হলগেটে অবস্থান শিক্ষার্থীদের

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শহীদ মো. ফরহাদ হোসেন হলে আসন বরাদ্দ দিয়ে হঠাৎ সেটা স্থগিত করায় কাঁথা-বালিশ নিয়ে হলগেটে অবস্থান করছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৪ মে) সন্ধ্যা ৬ টা থেকে হলটির প্রধান গেটের সামনে অবস্থান নেন তারা।

এসময় হলে না উঠানো পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন তারা।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন পর শহীদ ফরহাদ হোসেন হলের আবাসন বরাদ্দ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

হলটিতে সিট সংখ্যা সাতশ। এরমধ্যে ৫৩০ জন শিক্ষার্থীর হলে সিট নিশ্চিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই হলটিতে উঠেছেন। তবে বাকি ১৭০ জন শিক্ষার্থীর সিট স্থগিত রাখা হয়েছে।  

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ নিয়ে প্রশাসন যে সমস্যার কথা জানিয়ে আমাদের সিট স্থগিত রেখেছে, আসলে এতে আমাদের কোনো ভুল ছিল না। আবেদন ফরম অনুযায়ী আমাদের সবকিছু শতভাগ সঠিক। পরে প্রশাসন থেকে এ বিষয়ে যৌক্তিক সমাধানের কথা জানালেও এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। এতে শিক্ষার্থীরা আবাসন সংকট নিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছেন।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মো. শরিফুল ইসলাম জানান, প্রশাসনের সরবরাহকৃত ফরম অনুযায়ী যথাযথ নিয়মে আবেদন করে মেধার ভিত্তিতে শহীদ মো. ফরহাদ হোসেন হলে সিট বরাদ্দ পেয়েছি আমরা। এরপর সাক্ষাৎকারে হঠাৎ বর্ষ সংক্রান্ত সমস্যার কথা উল্লেখ করে আমাদের সিট স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। সমস্যার সমাধানে প্রভোস্ট থেকে আইসিটি সেল হয়ে প্রক্টর অফিস, প্রো-ভিসি অফিসে ১৩ এপ্রিল থেকে এখন অবধি ঘুরানো হচ্ছে আমাদের। প্রশাসন থেকে সমাধানের আশ্বাস দিলেও তার কোনো অগ্রগতি নেই। গত ২৬ এপ্রিল থেকে হলে ওঠার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ায় সবাই মেস/বাসা ছেড়ে দিয়েছে। যার ফলে দেড়শো শিক্ষার্থীর আবাসন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আরবি সাহিত্য বিভাগের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নোমান ইবনে মোসলেহ উদ্দিন বলেন, গত এপ্রিল মাসের ১২ তারিখ থেকে কিছু শিক্ষার্থীর হলের সিট স্থগিত করা হলে তারা হাউজ টিউটর থেকে প্রভোস্ট, আইসিটিসেল, প্রশাসনিক ভবন, প্রক্টর অফিসে ঘুরাঘুরি করেও এখন পর্যন্ত প্রশাসন থেকে সঠিক কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। অথচ আমরা গতমাসে হলে উঠতে পারব দেখে মেস ও কটেজে ছেড়ে দিয়েছি। এখন আমরা হলের সামনে অবস্থান নিয়েছি।

চবির কেন্দ্রীয় আসন বরাদ্দ কমিটির আহ্বায়ক ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, তারা আবেদনে একটি ভুল করেছিলো। সমাবর্তনের পর তাদের হলে ওঠানোর ব্যবস্থা করবো বলেছি।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, মে ৪, ২০২৫
এমএ/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।