চট্টগ্রাম: দেশের অর্থনৈতিক ক্লান্তিলগ্নে একটি সুষম বাজেট প্রণয়ন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। তারপরও ঘোষিত বাজেটে অনেক বিষয়ে জনমনে স্বস্তি আনবে।
চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট ইনচার্জ ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লুৎমিলা ফরিদ ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে ঘোষিত বাজেটের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন।
তিনি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে কর ছাড়, ইন্টারনেট ও মোবাইল সেবায় কর হ্রাস, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে আরো শক্তিশালী করবে এবং প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।
সৃজনশীল নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য (স্টার্ট-আপ) ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ তরুণদের ব্যবসা-বাণিজ্যে উৎসাহিত করবে এবং কৃষিখাতে করসীমা ৫ লাখ টাকা, নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্যানিটারি ন্যাপকিনের কর হ্রাস বাজেটের ইতিবাচক দিক। সর্বোপরি বাজেটে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি পূরণ, বাজেট বাস্তবায়নে বড় চ্যালেঞ্জ বলে আমি মনে করি। মূল্যস্ফীতি সীমিত রাখার আকাঙ্ক্ষা এবং জ্বালানি তেলের আমদানি শুল্ক হ্রাস অত্যন্ত ইতিবাচক। যার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য কমবে এবং সাধারণ মানুষের জীনব-যাত্রায় স্বস্তি আসবে।
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বহাল রাখা এবং অপ্রদর্শিত অর্থ প্রতিরোধে রেজিস্ট্রেশনে করহার কমানো, প্রকৃত ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতার মুখে ফেলবে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বরাদ্দ বৃদ্ধিও বাজেটের ইতিবাচক দিক, তবে এর সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
এআর/পিডি/টিসি