ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৬ জুন ২০২৫, ০৯ জিলহজ ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শেকড়ের টানে বাড়ির পানে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:৪৮, জুন ৫, ২০২৫
শেকড়ের টানে বাড়ির পানে ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: আপনজনদের সাথে ঈদ করতে শহর ছাড়ছে মানুষ, তাই প্রায়ই ফাঁকা হয়ে গেছে নগর। গত দুইদিন রেলস্টেশন ও বাস টার্মিনালগুলোতে ছিল ঘরমুখো মানুষের ভিড়।

 

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিনের ছুটি শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে। এদিনও শেকড়ের টানে ঈদ আনন্দযাত্রায় যোগ দেন অনেকে।

পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ করার জন্য প্রতি বছর বাস ও ট্রেনে করে বাড়ি ফেরার পথে নানা ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। ঈদের দু-একদিন আগে থেকে প্রতিটি ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটতো। অতিরিক্ত গরমে বাসে ভোগান্তি বাড়তো আরও বেশি। তবে অন্যান্যবারের চেয়ে এবার ঈদযাত্রা অনেকটা স্বস্তিদায়ক বলে মনে করছেন ঘরমুখো মানুষ।

কদমতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল, কদমতলী বাস টার্মিনাল, স্টেশন রোড, বিআরটিসি বাসস্টেশন, গরিবুল্লাহ শাহ মাজার গেট, অলংকার মোড়, একে খান ও সিটি গেট এলাকার বাস কাউন্টারগুলোতে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা যায়। ট্রেনের অগ্রিম টিকিট যারা কেটেছেন, তাদের ভ্রমণ বেশ আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে।

চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে প্রায় সব ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে। তবে প্রতিদিন দুয়েকটি ট্রেন সূচি অনুযায়ী চলেনি। চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে ঢাকা, কক্সবাজার, সিলেট, জামালপুর ও চাঁদপুর রুটে আন্তনগর ও লোকালসহ ১৬ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। এ ছাড়া ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলাচলরত আন্তনগর কক্সবাজার ও পর্যটক এক্সপ্রেসও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে বিরতি দেয়। এসব ট্রেনের পাশাপাশি বুধবার থেকে চাঁদপুর রুটে বিশেষ ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৬ জুন) পর্যন্ত এই ট্রেন চলাচল করবে বলে জানান রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান।  

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২২ সালের আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী, সিটি করপোরেশনের অধীন এলাকাগুলোর জনসংখ্যা ৩২ লাখের বেশি। ঘরবাড়ির সংখ্যা দুই লাখের অধিক। সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও ধরে নেওয়া হয়, ঈদের সময় অর্ধেকের বেশি মানুষ গ্রামে চলে যায়। দীর্ঘ ছুটি থাকায় এবার অনেকটা উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।  

চট্টগ্রাম জেলা বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহজাহান বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের চাপ কিছুটা কম। লম্বা ছুটি হওয়ায় মানুষ ধাপে ধাপে বাড়ি যাচ্ছেন। মহাসড়কেও তেমন যানজটের খবর পাওয়া যায়নি।

বিআরটিএ ও সিএমপির পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রী পরিবহন না করতে বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য পরিবহন চালক-মালিকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাত্রী পরিবহন করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়।  

বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।