চট্টগ্রাম: মাত্র ১৪ বছর বয়সী কিশোর। তার কাছে এক লক্ষ ২৫ হাজার টাকা।
শুক্রবার গভীর রাত ১২টার দিকে শাহ আমানত সেতুতে দায়িত্ব পালন করছিলেন এস আই আওরঙ্গ, এএসআই শিবুসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। কক্সবাজার থেকে আসা একটি বাসে তল্লাশি চালানোর সময় গোলাম মোর্শেদের পকেটে ৫০ হাজার টাকা পান তারা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, একসঙ্গে এত টাকা পাওয়ার পর তাকে চেকপোস্টে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন পুলিশ সদস্যরা। মোর্শেদ জানায়, সে কক্সবাজারে একটি দোকানে চাকুরি করে। মালিক মারধর করায় টাকা চুরি করে কুমিল্লা চলে যাচ্ছে। পরে পুলিশ তার ব্যাগে তল্লাশি করে আরও ৭৫ হাজার টাকাসহ মোট এক লক্ষ ২৫ হাজার টাকা পান।
এসময় পুলিশ কক্সবাজারে বিভিন্নভাবে অনুসন্ধান করে কোন দোকান মালিকের খোঁজ পাননি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে মোর্শেদ স্বীকার করে, সে কক্সবাজার কেজিএন মডেল হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। তার বাবা কামারুজ্জামানের কক্সবাজার এন্ডারসন রোডে গুলজার শপিং কমপ্লেক্সে শাহ দেওয়ানবাগি গার্মেন্টস নামে একটি দোকান আছে। তাদের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার নলদাড়া গ্রামে।
বাকলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বাংলানিউজকে বলেন, মোর্শেদ তার বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে টাকাগুলো চুরি করে কুমিল্লা যাচ্ছিল। কিছুদিন পরিবারের লোকজনকে টেনশনে রাখাই ছিল তার উদ্দেশ্য। খবর পেয়ে তার বাবা সকালে কক্সবাজার থেকে থানায় আসেন। আমরা তাকে বাবার কাছে ফিরিয়ে দিই।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০,২০১৫