ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ছয়টি অবৈধ বিলবোর্ড ও ৫১টি সাইনবোর্ড অপসারণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৫
চট্টগ্রামে ছয়টি অবৈধ বিলবোর্ড ও ৫১টি সাইনবোর্ড অপসারণ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছয়টি অবৈধ বিলবোর্ড ও ৫১টি সাইনবোর্ড অপসারণ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও নগর পুলিশ।   শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এসব বিলবোর্ড অপসারণ করা হয়।



অভিযানে নেতৃত্ব দেন নগর পুলিশ কমিশনার আবদুল জলিল মন্ডল। এসময় পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


করপোরেশন সূত্র জানায়, নগরীর আলমাস সিনেমা হলের মোড় থেকে দুটি, ওয়াসা মোড় থেকে একটি ও ইস্পাহানি মোড় থেকে তিনটি বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়। এ ছাড়া নগরের জিইসি মোড় থেকে গোলপাহাড় পর্যন্ত এলাকা থেকে ৫১টি সাইনবোর্ড অপসারণ করা হয়।

নগর পুলিশের কোতয়ালি জোনের সহকারি কমিশনার শাহ মো.আব্দুর রউফ বাংলানিউজকে বলেন,‘অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদের পাশাপাশি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে সিএমপি অধ্যাদেশে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’

চট্টগ্রাম নগরীতে বিলবোর্ড স্থাপন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা আছে। মাসখানেক আগে চট্টগ্রাম সফরে এসে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যত্রতত্র বিলবোর্ড নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মন্ত্রী এজন্য সিটি কর্পোরেশনকেও দায়ি করেন।

নগরীতে বিলবোর্ড ব্যবসার অন্যতম নিয়ন্ত্রক নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু। নগর যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং যুবদলের অনেক নেতাও এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। মূলত তাদের রাজনৈতিক দাপটের কাছে অসহায় সিটি কর্পোরেশন অতীতে বারবার উচ্ছেদের উদ্যোগ নিয়েও পরে পিছিয়ে গেছে।

এ অবস্থায় কমিশনার হিসেবে যোগদানের পর বিলবোর্ড উচ্ছেদে এগিয়ে আসেন আব্দুল জলিল মন্ডল। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ৪২২টি অবৈধ বিলবোর্ডের একটি তালিকা নগর পুলিশকে দেয়া হয়।

ওই তালিকা ধরে গত ১৬ নভেম্বর থেকে বিলবোর্ড উচ্ছেদ অভিযানে নামে নগর পুলিশ ও সিটি কর্পোরেশন। শুরুতেই নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিলবোর্ড বাধার মুখেও উপড়ে ফেলে নগর পুলিশ যেমন প্রশংসা কুড়িয়েছে, আবার এমইএস কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আরশাদুল আলম বাচ্চুর বিলবোর্ড উচ্ছেদ করতে না পেরে সমালোচনাও কুড়িয়েছে।

তবে মাত্র ৩১টি বিলবোর্ড উচ্ছেদের পর অভিযান বন্ধ হয়ে যায়। ডিসেম্বরের শুরুতে নগরীর বাকলিয়া থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে বিলবোর্ড উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে অসহায়ত্বের কথাও শোনা গেছে পুলিশ কমিশনারের মুখে।

এরপর ১৩ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে সিএমপি কমিশনার আরও অসহায়ত্ব নিয়ে বলেন, বিলবোর্ড উচ্ছেদ তার কাজ নয়। ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে পুনরায় বিলবোর্ড উচ্ছেদ শুরু করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও নগর পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০,২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।