ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিএমডিসির স্বীকৃতি চায় ডেন্টাল টেকনোলজিস্টরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
বিএমডিসির স্বীকৃতি চায় ডেন্টাল টেকনোলজিস্টরা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা সনদধারী ডেন্টাল টেকনোলজিস্টদের বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) স্বীকৃতি ও পেশাগত কাজে হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ডেন্টাল পরিষদ চট্টগ্রাম শাখা। রোববার চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলন করে পরিষদের নেতারা এ দাবি জানান।



সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পরিষদের জেলা শাখার উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবুল হাসান বলেন, সাতটি সরকারি ও ৮৫টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ ১৬ হাজার মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট আছেন। যাদের বেশিরভাগই বর্তমানে বেকার দিন কাটাচ্ছেন।
প্রতিবছর এই বেকারত্বের হার বাড়ছে।

আবুল হাসান বলেন, সরকারি চাকুরিতে টেকনোলোজিস্টদের জন্য পদ আছে মাত্র ৫১৫টি। এর মধ্যে ১৪টি পদ খালি আছে। দীর্ঘদিন যাবত এ পদে সরকারি নিয়োগ না থাকায় প্রায় ৪ হাজার টেকনোলোজিস্টের সরকারি চাকুরির মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় তারা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে।

তিনি বলেন, একদিকে পর্যাপ্ত সরকারি চাকরির সুযোগ নেই, অন্যদিকে প্রাইভেট প্র্যাকটিসেরও অনুমতি নেই। এমন অবস্থায় প্রতি বছর নতুন ইনস্টিটিউটের অনুমোদন দিয়ে যাচ্ছে সরকার। বর্তমানে বেকার টেকনোলোজিস্টরাও সরকার অনুমোদিত ইনস্টিটিউটগুলোর প্রলোভনে পড়ে ডিপ্লোমা করেছিল। কিন্তু ডিপ্লোমা শেষে চাকরি না জোটায় প্রাইভেট প্র্যাকটিসে গেছে। কিন্তু সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদলত জেল জরিমানার মাধ্যমে হয়রানি করছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মেডিকল টেকনোলজিস্ট ডেন্টালদের সম শিক্ষাগত যোগ্যতা, সমবেতন স্কেল ও সম পদমর্যাদা এবং একই নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অধীনে কর্মরত মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টদের প্র্যাকটিস রেজিস্ট্রেশন থাকলেও ডেন্টাল টেকনোলজিস্টদের নেই। তা ছাড়া রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টি বর্তমানে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে আলোচনাধীন হলেও এই অবস্থায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের হয়রানি অব্যহত আছে।

ডেন্টাল পরিষদের নেতারা বলেন, ডেন্টাল টেকনোলজিস্টদের ন্যূনতম প্রাইভেট প্র্যাকটিসের অনুমতি দিলে দেশের হাজার হাজার ডেন্টাল ডিপ্লোমাধারীরা বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়ে জনগণের প্রাথমিক দন্ত চিকিৎসা সেবা প্রদানের মাধ্যমে উন্নত সমাজ গঠনের ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।

সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন, সংগঠনের সভাপতি দীপক কান্তি বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শান্তনু দাশ, সহসভাপতি বিপ্লব কুমার নাথ, রাজীব চৌধুরী, মিঠুন বিশ্বাস, কনক কান্তি নাথ, খাইরুল বশর, মিথুন দাশ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাজেশ বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় নেতা প্রবাল বিকাশ রুদ্র প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।