ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভিত্তি জিপিএ-৫

প্রথমবারের মতো সেরা অবস্থানে বাওয়া

মো.মহিউদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৫
প্রথমবারের মতো সেরা অবস্থানে বাওয়া ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: পাশের হারে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও জিপিও-৫ এর ভিত্তিতে সেরা অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট(জেএসসি) পরীক্ষায় এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৪২৭ জন অংশ নিয়ে পাশ করছে ৪২৬জন।

জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৪৮জন। পাশের হার ৯৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ।


অন্যদিকে পাশের হার শতভাগ হলেও জিপিএ এর ভিত্তিতে দ্বিতীয় অবস্থানে ডা.খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৩৫ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে সবাই। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২৩জন।

৩১৯ জন জিপিএ-৫ পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নৌ বাহিনী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। এখান থেকে ৬৭৮জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৬৭১জন। পাশের হার ৯৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

অন্যান্য বছর পাঁচটি মানদন্ডের ভিত্তিতে সেরা ২০ প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করলেও এবার সেরা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করেনি চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড। এ বিষয়ে বোর্ডের সচিব ড.পীযূষ দত্ত বলেন, সেরা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করলে বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা হয়। তাই মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে এবার এ তালিকা করা হয়নি। তবে জিপিএ-৫ পাওয়ার ভিত্তিতে ১০ প্রতিষ্ঠানের একটি তালিকা করা হয়েছে।

সেবা অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে বাওয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ারা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, পাশের হারে পিছিয়ে থাকলেও বরারই আমাদের প্রতিষ্ঠান জিপিএ-৫ এর ভিত্তিতে প্রথম হতো। তবে বোর্ডের পাঁচটি ক্রাইটেরিয়ার কারণে পিছিয়ে থাকতো।

শিক্ষার্থীদের আগ্রহ, শিক্ষকদের পরিশ্রমের কারণেই ফলাফল ভাল করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মূল্যায়ন পরীক্ষায় যেসব ছাত্রী পিছিয়ে থাকতো তাদের প্রতি অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া হতো। তাদের ফলাফল ভাল করতে শিক্ষকরা পরিশ্রম করতেন।

ব্যক্তিগত মূল্যায় নয়, সামগ্রিক উন্নয়নে বিশ্বাসী উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ছাত্রীদের বুঝিয়েছি সবাই মিলেই আমরা। তাই সবার রেজাল্ট ভাল করতে উদ্বুদ্ধ করি। ছাত্রীদের যে কোন সমস্যা শিক্ষকরা আগ্রহের সঙ্গে সমাধান করে।

সেরা ১০ স্কুলের মধ্যে ৩০৩ জন জিপিএ-৫ পেয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে কলেজিয়েট স্কুল। এ প্রতিষ্ঠানের পাশের হার শতভাগ। এখান থেকে ৩১৩ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে সবাই।

বাকিগুলো হলো-সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়(২৭৬), নাছিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়(২২৬), চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়(২১০), চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়(১৯৯), বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়(১৯৮) ও অপর্ণা চরণ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়(১৯৫)।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৫
এমইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।