চট্টগ্রাম: মহান বিজয় দিবসে অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর কবরের পাশে সময় কাটিয়েছেন তার স্বজনেরা। দিয়াজের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর সময় তার পরিবারের সদস্যরা হয়ে পড়েন আবেগাপ্লুত।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে অবস্থিত দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর কবরে ফুল দেওয়ার সময় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে তার মা জাহেদা আমিন চৌধুরী, বড় বোন অ্যাডভোকেট জুবাঈদা ছরওয়ার নিপা, ছোট বোন সাঈদা ছরওয়ার নিশা, ছোট ভাই মিরাজ ইরফান চৌধুরী, ভগ্নিপতি সরওয়ার আলম, খালা অ্যাডভোকেট সাজেদা আমিন চৌধুরী, ছোট মামা সাজেদ বিন আমিন, ভাগিনা সাইফান নুরাজ, ভাগ্নে সারওয়া নুজাত উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ক্যাম্পাসভিত্তিক পক্ষ ‘বাংলার মুখে’র নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিকেলে দিয়াজ ইরফান চৌধুরী ও তার পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মৃতি ম্যুরালে ফুল দিয়ে একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। পুষ্পমাল্যের মাঝখানে সাদা কাগজের উপর লেখা ছিল ‘‘মহান বিজয় দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি-‘দিয়াজ ইরফান চৌধুরী' ও তার পরিবারের সদস্যবৃন্দ। ’' এসময় দিয়াজ ইরফান চৌধুরী পরিবারের অন্য সদস্যরা ছাড়াও তার নানী নুরজাহান আমিন উপস্থিত ছিলেন।
গত ২০ নভেম্বর ক্যাম্পাসের দুই নম্বর গেটে অবস্থিত নিজ বাসা থেকে দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর থেকে তার পরিবার দাবি করে আসছিল দিয়াজকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ময়নাতদন্তে দিয়াজের মৃত্যু আত্মহত্যাজনিত কারণে বলে মত দেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকেরা। সেই প্রতিবেদন প্রত্যাখান করে তার পরিবার আদালতে মামলা করেন। দিয়াজের মরদেহ কবর থেকে তুলে পুনরায় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। সেই নির্দেশ মোতাবেক গত ১০ ডিসেম্বর দিয়াজের মরদেহ কবর থেকে তুলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরদিন (১১ ডিসেম্বর) দিয়াজের ময়নাতদন্ত শেষ হয়। তবে এবারের ময়নাতদন্ত শেষে দিয়াজের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকরা। এরপর ওইদিন রাতেই দিয়াজের মরদেহ শেষবারের মতো দাফন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬,২০১৬
টিএইচ/টিসি