ঢাকা, শুক্রবার, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২২ মহররম ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাকলিয়ায় ১৪ একর জমিতে আইটি পার্কের কাজ শুরু শীঘ্রই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭:০৫, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৬
বাকলিয়ায় ১৪ একর জমিতে আইটি পার্কের কাজ শুরু শীঘ্রই ছবি: উজ্জ্বল ধর-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নগরীর বাকলিয়া থানার কর্ণফুলীর পাড়ে ১৪ একর জমির ওপর আইটি পার্ক হচ্ছে।  খুব শীঘ্রই এই পার্কের নির্মাণকাজ শুরু হবে।

চট্টগ্রাম: নগরীর বাকলিয়া থানার কর্ণফুলীর পাড়ে ১৪ একর জমির ওপর আইটি পার্ক হচ্ছে।  খুব শীঘ্রই এই পার্কের নির্মাণকাজ শুরু হবে।

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম হলে লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং মেলার উদ্বোধন করতে এসে এই ঘোষণা দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

পলক বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে ডিজিটাল যোদ্ধা তৈরি করতে আমরা বাকলিয়ায় ১৪ একর জমির ওপর একটি আইটি পার্ক স্থাপন করতে যাচ্ছি।

খুব শীঘ্রই এই পার্কের নির্মাণকাজ শুরু হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে আইটি ভ্যালেজ স্থাপন করা হবে। পর্যায়ক্রমে আরও ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আইটি পার্ক স্থাপন করা হবে। ’

ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

তিনি বলেন, আইটি পার্ক স্থাপন শেষ হলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে চট্টগ্রামের ৫০ হাজার তরুণের কর্মসংস্থান হবে।

পলকের আশা, এটি বাস্তবায়ন হলে বিশ্বের নাম্বার ওয়ান আউট সোর্সিংয়ের শহর ভারতের ব্যাঙ্গালোরের মতো হবে চট্টগ্রামও।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ওয়াসেকা আয়েশা খান, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমীন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম, রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ক্লাস্টার মার্কেট ডিরেক্টর নাজির আহমেদ প্রমুখ।

ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তা ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করছেন। চট্টগ্রামে আইটি পার্ক হচ্ছে-এটি এই অঞ্চলের মানুষের জন্য অনেক বড় পাওয়া। এটি বাস্তবায়ন হলে আমাদের হাজার হাজার তরুণের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। ’

তরুণ তরুণীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে আগ্রহী করতেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্প থেকে সারাদেশেই এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অনেক জেলায় এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী জানুয়ারির মধ্যে দেশের ৬৪ জেলাতেই এই মেলার আয়োজন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে আগ্রহী তরুণদের ভিড় নামে মেলা প্রাঙ্গণ জিমনেশিয়াম হলে। যেনো তিল ধারণের ঠাঁইও নেই সেখানে। তারা মেলায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে জানার আগ্রহ দেখান।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৬

টিএইচ/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।