ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইডিইউতে বিজয় দিবস উদযাপন

চট্টগ্রাম প্রতিদিন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৬
ইডিইউতে বিজয় দিবস উদযাপন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আয়োজনটা শুরু হয়েছিলো কবি শামসুর রহমানের স্বাধীনতা তুমি কবিতার চরণ দিয়ে। তারপর একে-একে গান, কবিতা কিংবা স্মৃতিচারণ। মহান বিজয় দিবস বলে কথা! তাই লাল-সবুজের দিনে বিজয়ের আনন্দে মেতে উঠেছিলো চট্টগ্রামের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউর) শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা।

চট্টগ্রাম: ‘স্বাধীনতা তুমি/রবিঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান/ স্বাধীনতা তুমি/কাজী নজরুল ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো/মহান পুরুষ, সৃষ্টিসুখের উল্লাসে কাঁপা...পতাকা-শোভিত শ্লোগান-মুখর ঝাঁঝালো মিছিল। ’

আয়োজনটা শুরু হয়েছিলো কবি শামসুর রহমানের স্বাধীনতা তুমি কবিতার চরণ দিয়ে।

তারপর একে-একে গান, কবিতা কিংবা স্মৃতিচারণ। মহান বিজয় দিবস বলে কথা! তাই লাল-সবুজের দিনে বিজয়ের আনন্দে মেতে উঠেছিলো চট্টগ্রামের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউর) শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা।

নগরীর প্রবর্তক মোড়ের বর্ধিত একাডেমিক ভবনে দিনটি উপলক্ষে ইডিইউ কর্তৃপক্ষ হাতে নিয়েছিলো নানা কর্মসূচি। ঘড়ির কাটায় বিকেল ৩টা বাজার আগেই যেন সবাই হাজির। শুরু হয় বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা বিনিময়।

দুইভাগে বিভক্ত অনুষ্ঠান সূচির শুরুতেই ছিলো জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ইডিইউর উপাচার্য ও দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেন, আমরা সবাই এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলি। কিন্তু কেউ তা সঠিকভাবে অন্তরে ধারণ করি না। গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা, জাতীয়তাবাদের কথা বলছি। অথচ তারপরও মানুষে-মানুষে এতো বিভেদ তৈরি হচ্ছে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই সমন্বিত উদ্যোগ। যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন কিংবা জড়িত ছিলেন তারা ব্যক্তিগত উদ্যোগে বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ১৯৭১ সালের কাহিনী তুলে ধরতে পারেন। এতে করে সচেতনতা ও দেশপ্রেম দুটোই সৃষ্টি হবে।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোন গল্প জোর করে চাপিয়ে দিলে তরুণ প্রজন্মের মনের ভেতর বেশি দিন তা স্থায়ী হবে না বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান।

ইডিইউর অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ট্রেজারার অধ্যাপক শামস-উদ-দোহা, ডিরেক্টর অ্যান্ড প্ল্যানিং শাফায়েত চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সজল বড়ুয়া, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান শাহ আহমেদ রিপন প্রমুখ।

আয়োজন সূচির দ্বিতীয় পর্বে ছিলো মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কৃতি ছাত্রী মেহেনাজের প্রাণবন্ত উপস্থাপন আর হল ভর্তি দর্শকদের মুর্হূমুহূ করতালি সবার ভেতর বিজয়ের আনন্দকে নতুনভাবে ছড়িয়ে দেয়। এই সময় দেশাত্মবোধক গান, কবিতা ও মুকাভিনয়সহ নানা পর্বে ছিলেন মোজাম্মেল, মুমু, অটুট চৌধুরী, আল নাহিয়ান, হাসান মাহাবুব, সাবরিনা সুলতানা, সাদাফ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৬

টিএইচ/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।