ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৪৬ বছর পর মিত্রবাহিনীর শহীদ সদস্যদের স্মরণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৬
৪৬ বছর পর মিত্রবাহিনীর শহীদ সদস্যদের স্মরণ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

দীর্ঘ ৪৬ বছর পর ১৯৭১ সালে কুমিরা যুদ্ধে যেসব মিত্রবাহিনীর সদস্য শহীদ হয়েছিলেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা। আয়োজন করা হয় স্মরণ সভার। বিজয় দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে সীতাকুণ্ড উপজেলা কমান্ড এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

চট্টগ্রাম: দীর্ঘ ৪৬ বছর পর ১৯৭১ সালে কুমিরা যুদ্ধে যেসব মিত্রবাহিনীর সদস্য শহীদ হয়েছিলেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা। আয়োজন করা হয় স্মরণ সভার।

বিজয় দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে সীতাকুণ্ড উপজেলা কমান্ড এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

সীতাকুণ্ড উপজেলার মন্তবাড়ির মূল ফটকের সামনে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা নাজমুল হাসান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাসুকুর রহমান শিকদার।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট কমান্ডার মো.শাহাবুদ্দিন, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সহকারী কমান্ডার(দফতর) এ কে এম আলাউদ্দিন, সহকারী কমান্ডার মো.বোরহান উদ্দিন, উপজেলা কমান্ডার মো.আলীমুল্লাহ, মো.আবদুস ছালাম প্রমুখ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা সানাউল্লার সঞ্চালনায় শনিবার বিকেল ৩টায় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভার শেষে উপজেলা প্রশাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও উপজেলা কমান্ড ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, প্রথমবারের মতো জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রের মিত্র বাহনীর সদস্যদের স্মরণের উদ্যোগ নিয়েছি।

সরকার বধ্যভূমির তালিকা প্রস্তৃত করে পর্যায়ক্রমে স্মৃতিস্থম্ভ তৈরির কাজ শুরু করেছে বলে জানান তিনি।

জেলা কমান্ডার বলেন, দীর্ঘ ৪৬ বছর পর বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যে বীরেরা নিজের বুকের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনে অংশ নিয়েছিল; তাদের দাহস্থানটি অযত্নে পড়ে আছে। কোন স্মৃতি স্থম্ভ নেই, সংরক্ষণ নেই।

এরই মধ্যে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম এখানে একটি স্মৃতি স্থম্ভ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আশা করি এই বছরের মধ্যেই তা বাস্তবায়ন হবে।

সাহাবুদ্দিন বলেন, বন্ধুপ্রিয় দেশ ভারত কেবল আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে কেবল বুকের রক্তই দেয়নি, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র এবং কয়েক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। যা আমাদের স্মরণ রাখা দরকার। কারণ ভারত সরকার এখনো মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের বছরে প্রায় তিন কোটি টাকার বৃত্তি দিয়ে যাচ্ছে। প্রতি বছর বিজয় ও স্বাধীনতা দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে সম্মাননা প্রদান করছেন। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

এখন থেকে প্রতিবছর এই দিনে সীতাকুণ্ড উপজেলা কমান্ডকে তাদের প্রতি সম্মান জানাতে কর্মসূচি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা কমান্ডার সাহাবুদ্দিন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৬

এমইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।