চট্টগ্রাম: আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) হিসেবে চলতি বছরের ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ হয়েছে ২১ হাজার। তবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন আইওএম’র সেই হিসেবে স্বীকার করছে না।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবদুর রহমান বলেন, ‘আইওএম যে তালিকা করেছে তাতে দেখিয়েছে এবার ২১ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বিজিবি-কোস্টগার্ড সম্মিলিতভাবে নজরদারি করছে। তারা অনুপ্রবেশ করতে চাওয়া রোহিঙ্গাদের পুশব্যাক করছে। তবুও বিক্ষিপ্তভাবে রোহিঙ্গারা ঢুকে পড়ছে। তবে রোহিঙ্গারা যেন কক্সবাজার ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় যেতে না পারে সেদিকে নজরদারি আছে। ’
বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে সভায় ডিআইজি চট্টগ্রাম রেঞ্জ, মোহা. শফিকুল ইসলাম, কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের কমান্ডার শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা সহ ১১টি জেলার জেলা প্রশাসকরা উপস্থিত ছিলেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা দালালদের নজরদারিতে রেখেছি। পাশাপাশি হেফাজতে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন ইসলামিক দলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছি, যেন তারা সীমান্ত এলাকায় রোহিঙ্গাদের বিষয়ে মিছিল-সমাবেশ না করে। ’
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) কক্সবাজার অফিসের প্রধান সানজুক্তা সাহানি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে সহিংসতা শুরুর পর এ পর্যন্ত নতুন করে ২১ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে।
সেসময় তিনি আরও জানিয়েছিলেন, আইওএম ছাড়াও জাতিসংঘের ইউএনএইচসিআর, ডব্লিউএফপি, ইউনিসেফের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ বিভিন্ন এনজিও এ বিষয়ে কাজ করছে। সব সংস্থার হিসেবে নতুন করে ২১ হাজার রোহিঙ্গা শুধুমাত্র কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছে বলে আইওএম সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৬
টিএইচ/আইএসএ/টিসি