চট্টগ্রাম: স্বপন চক্রবর্ত্তী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উপর ডাবল স্নাতকোত্তর তিনি।
কাব্যপ্রেমীদের কাছে প্রশংসিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাঙালি এই কবি’র সৃষ্টি ‘পরশ’ এবার ফিরল তারই প্রিয় ক্যাম্পাসে। এর মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা এবার গ্রন্থাগারে বসে তাদের অগ্রজের কাব্যগ্রন্থটিতে চোখ বোলানোর সুযোগ পেলেন।
মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে কাব্যগ্রন্থটি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর হাতে তুলে দিয়েছেন কবির অনুজ বাংলানিউজের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান ও ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য-যিনি নিজেও কাব্যপ্রেমিক, আবার কবির একসময়ের সরাসরি শিক্ষকও। কাব্যগ্রন্থটি হাতে পেয়েই দ্রুত কাব্যগ্রন্থের পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় চোখ বোলালেন উপাচার্য। কয়েকটা কবিতা পড়েই প্রশংসা করেছেন সাবেক ছাত্রের।
এসময় উপাচার্য বলেন, আমি নিজেও কবিতার বড় ভক্ত। একটা সময় কবিতা লেখা হতো নিয়মিত। আমার একজন সাবেক ছাত্র সুদূর আমেরিকায় বসেও বাংলা ভাষায় কবিতা চর্চা করে যাচ্ছে-এটা দেখতে পারাটা আমার জন্য সৌভাগ্যের। কবি স্বপন চক্রবর্ত্তী আমাদের আরও আরও কাব্যগ্রন্থ উপহার দেবেন বলে আমরা আশাবাদি। কবির জন্য শুভকামনা রইল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে গ্রন্থের একটি কপি উপহার হিসেবে দেওয়া ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরা পড়ার জন্য কাব্যগ্রন্থটির পাঁচটি কপি তুলে দেন তপন চক্রবর্তী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কাব্যগ্রন্থটি শিক্ষার্থীদের জন্য দ্রুত গ্রন্থাগারে রাখার ব্যবস্থা করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, কবি স্বপন চক্রবর্ত্তী সময়ের একজন ব্যতিক্রমী কুশলী কথা কাব্যের রূপকার। দীর্ঘ সময় প্রবাস জীবনে থেকেও কবি হৃদয় নিংড়ে অনুভব করেছেন জীবনযাপনের নানা দিক চিহ্ন। বার বার ফিরে এসেছেন নিজের অন্তর্বোধের কাছে। কবিতাচর্চাই তার আরাধ্য সাধনা। সুদীর্ঘকাল ধরে লিখে চলেছেন কবিতা, গল্প ও সাহিত্যবিষয়ক নানা প্রবন্ধ। কবিতায় জীবনের কথা বলতে ভালোবাসেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ডাবল স্নাতকোত্তর করার পর আইনে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। দীর্ঘদিন ধরে আইন পেশায় নিয়োজিত ও সেইসাথে আইন কলেজে অধ্যাপনা করেন। সংস্কৃতিকর্মী হিসেবে যুক্ত ছিলেন স্বৈরচারাবিরোধী আন্দোলনে।
১৯৯৫ সাল থেকে উত্তর আমেরিকার নিউইয়র্কে সপরিবারে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। ২০০২ সালে সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কের বারউখ কলেজ থেকে লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে তৃতীয় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
টিএইচ/আইএসএ/টিসি