চট্টগ্রাম: আন্দোলনের শক্তি নেই বলে বিএনপি-জামায়াত আলোচনার কথা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তবে সোজা পথে হাঁটলেও তাদের আর রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবে না বলে মত দিয়েছেন মন্ত্রী।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের পাশে জিমনেশিয়াম চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলার স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের শক্তি ক্ষয় হতে হতে তারা এমন এক অবস্থায় এসে পৌঁছেছে তাদের এখন আন্দোলন করার শক্তি নাই।
‘শক্তি নেই বলে বিএনপি-জামায়াত সোজা পথে হাঁটা ধরেছে। যেহেতু তাদের বাঁকা পথে বা সন্ত্রাসের পথে হাঁটার সুযোগ নেই সেজন্য তারা সোজা পথে হাঁটছে। কিন্তু এটা তাদের একটা ভড়ং। ’
‘তারা নারায়ণগঞ্জের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত তারা থাকবে কিনা সন্দেহ। হয়ত তারা আগের মতো নির্বাচনের মাঝপথে পালিয়ে যেতে পারে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তারা আলোচনা করছেন। ’
মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা আর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে যাওয়া এটা তাদের একটা ভড়ং, একটা খোলস। তারা আসলে গোপনে গণতন্ত্রকে হত্যার জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা জানে গণতান্ত্রিক পন্থায় তাদের আবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসা সম্ভব নয়। মানুষ তাদের ভোট দেবে না।
‘রাষ্ট্রপতির সঙ্গে যতই আলোচনা করুক না কেন, তারা যতই আলোচনার কথা বলুক না কেন, এটা তাদের সফল হবে না। কারণ এই আলোচনা তাদের একটা খোলস। তারা আসলে একটা সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে। সন্ত্রাসী কায়দায় তারা আবার রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে চায়। এখন তাদের যে চেহারা দেখছি এটা তাদের ক্ষণস্থায়ী চেহারা, এটা তাদের চিরস্থায়ী চেহারা নয়। ’
‘সুতরাং কোনভাবেই তাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবে না। কারণ তারা দেশপ্রেমিক নয়। তারা এখনও একাত্তরের ঘাতকদের নিয়ে চলে। ঘাতকদের সঙ্গে তাদের সখ্যতা। ’ বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, একাত্তরের ঘাতকদের বিচারের মধ্য দিয়ে বিভাজনের রাজনীতিকে চিরতরে খতম করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিএনপি একাত্তরের ঘাতকদের নিয়ে চলে বলে বিভাজনের রাজনীতি দূর হচ্ছে না। আমরা চাই, বাংলাদেশেরর রাজনীতিতে সরকার এবং বিরোধী দল উভয়পক্ষই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হবে, বিপক্ষের শক্তি হবে না।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিজয়মঞ্চে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
আরডিজি/টিসি