ঢাকা, সোমবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

খসড়া তৈরি, মার্চে চূড়ান্ত ড্রেনেজ ও সুয়ারেজ মাস্টারপ্ল্যান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
খসড়া তৈরি, মার্চে চূড়ান্ত ড্রেনেজ ও সুয়ারেজ মাস্টারপ্ল্যান

সাতটি সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে নগরীর ড্রেনেজ ও সুয়ারেজ ব্যবস্থাপনার মাস্টারপ্লান তৈরি করেছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। আগামী বছরের মার্চে এই মাস্টারপ্ল্যান দুটি চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে।

চট্টগ্রাম: সাতটি সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে নগরীর ড্রেনেজ ও সুয়ারেজ ব্যবস্থাপনার মাস্টারপ্লান তৈরি করেছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। আগামী বছরের মার্চে এই মাস্টারপ্ল্যান দুটি চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে।

মঙ্গলবার ওয়াসার কনফারেন্স রুমে খসড়া মাস্টার প্ল্যান নিয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।  এতে ড্রেনেজ ও সুয়ারেজ ব্যবস্থাপনার মাস্টারপ্লানের বিষয়টি উঠে আসে।

সভায় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক রতন কুমার সরকার, প্রকৌশলী আলী আশরাফ, দেলোয়ার মজুমদার, ঢাকা ওয়াসার সাবেক এমডি ড. আজাহারুল ইসলাম, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমদ সহ মাস্টারপ্ল্যানের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় খসড়া মাস্টার প্ল্যানের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সভায় জানানো হয়, তিনটি পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হবে ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যান। এতে মোট ব্যয় হতে পারে ২২৮ মিলিয়ন ডলার। যা প্রতিটি পরিবার থেকে বৎসরে ৪৮০ টাকা করে নিলেই টাকা রিকভারি হবে। তাছাড়া ৩ শতাংশ ল্যান্ড টেক্স বৃদ্ধিও গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচনায় আনা হয়েছে।    

সুয়ারেজ মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য ওয়াসার ৯০ থেকে ১০০ জন কর্মীর প্রয়োজন হবে বলে উল্লেখ করা হয়। অন্যদিকে ড্রেনেজ মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য চসিকের আলাদা ড্রেনেজ উইং গঠনের প্রস্তাব করা হয়। এ উইংয়ে ৬৩০ জন কর্মীর প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।

সভায় উল্লেখ করা হয়, নগরীর প্রধান খালগুলোর ৪২ শতাংশ পানি প্রবাহের ক্ষমতা হারিয়েছে। ১৯ শতাংশ কালভার্টের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া রাস্তার পাশের ড্রেনের মধ্যে ৩২ শতাংশ বন্ধ হয়ে গেছে অথবা কার্যক্ষমতা হারিয়েছে। ৮ শতাংশ ড্রেন পাকা করা হয়েছে। তবে রাস্তার পাশের ৯০ শতাংশ বিদ্যমান ড্রেন সংস্কার ও ৫৫ শতাংশ অতিরিক্ত ড্রেন খনন প্রয়োজন।  বিদ্যমান খাল, নালা ও ড্রেন সংস্কার, পরিস্কার ও অন্যান্য কাজের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা থেকে অনেকটাই রেহাই মিলবে। এতে পানি জমা থাকার হার তিন দিন থেকে একদিনে নেমে আসবে বলে দাবি করা হয় সভায়। একই সাথে কর্ণফুলী নদীতে পর্যাপ্ত বন্যা প্রতিরোধ ব্যবস্থার অভাবের কথা উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৬

টিএইচ/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।