চট্টগ্রাম: আমেরিকা, যুক্তরাজ্য কিংবা কানাডা। উন্নত বিশ্বের গবেষণা সেক্টরে এখন প্রতিনিয়ত চলছে নিত্যনতুন সফটওয়ারের মাধ্যমে তথ্যকে আরও গভীরভাবে বিশ্লেষণ।
অথচ প্রযুক্তির সংর্স্পশে থেকেও অনেকখানি পিছিয়ে আছে আমাদের দেশের তরুণ মেধাবী গবেষকরা।
সম্প্রতি নগরীর প্রবর্তক মোড়ের বর্ধিত একাডেমিক ভবনে ইডিইউর স্কুল অব বিজনেস ফ্যাকাল্টি এই কর্মশালার আয়োজন করে। এতে সফটওয়ার ব্যবহার করে কিভাবে গবেষণা কার্যক্রমে তথ্য বিশ্লেষণ করা যায় সে বিষয়ে ধারণা দেন মালয়েশিয়ার উতারা ইউনিভার্সিটির গবেষক ও ইডিইউর সহকারী অধ্যাপক রাশেদ আল করিম। উপস্থিত ছিলেন স্কুল অব বিজনেসের বিভিন্ন সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা।
কর্মশালায় রাশেদ আল করিম বলেন, উন্নত বিশ্বের গবেষণা কার্যক্রম বহুদূর এগিয়ে গেছে কেবলমাত্র সফটওয়ার ব্যবহার করে। এখন কেবলমাত্র তথ্যকে সংগ্রহ করে আগের মতো ধারণা অনুযায়ী বা অনুমান করে বিশ্লেষণ করার সুযোগ নেই। আন্তর্জাতিক বিশ্বে প্রচুর ভালো গবেষণা উঠে আসছে। সেই পর্যায়ে যেতে হলে আমাদেরকে এসপিএসএস, অ্যামোস, স্মার্ট পিএলএস এর মতো সফটওয়ার ব্যবহার করে তথ্যকে উপস্থাপন করার কৌশল শিখতে হবে।
তিনি বলেন, আগে একজন গবেষক তার তথ্যকে ম্যানুয়ালি অথবা ক্যালকুলেটর দিয়ে পর্যবেক্ষণ করতেন। সেই সময় পার হয়ে গেছে। এখন তরুণরা এসপিএসএস সফটওয়ার দিয়ে গবেষণার আদ্যোপান্ত খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। বিষয়টি ইতিবাচক।
ইডিইউর শিক্ষার্থীরা নিত্যনতুন সফটওয়ার ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের গবেষণা কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই তরুণ গবেষক। চট্টগ্রামে এই ধরনের কর্মশালা প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হলো বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কর্মশালায় অংশ ইডিইউর শিক্ষার্থী নেওয়া সাবরিনা হোসেন প্রেমা বলেন, এই ধরনের কর্মশালার মাধ্যমে গবেষণা কার্যক্রমের খুঁটিনাটি বিষয় জানার সুযোগ পাওয়া যায়। আজ থেকে ১০/২০ বছর আগের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে পুরনো পদ্ধতিতে। এখন ভালো গবেষণাপত্র তৈরিতে একজন গবেষকের সফটওয়ার বিষয়েও দক্ষতা বাড়ানো জরুরি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৬
আইএসএ/টিসি