চট্টগ্রাম: দফায় দফায় বাকবিতণ্ডা আর স্লোগানে উত্তাপ ছড়ানোর মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে আটটা থেকে নগরীর ডা. খাস্তগীর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
দুই প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা জানিয়েছেন, ৩ হাজার ৩৫৯ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। দিনভর কেন্দ্রের বাইরে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্যানেলের কয়েক হাজার সমর্থক মিছিল স্লোগানে উত্তাপ ছড়ান। বেলা আড়াইটার দিকে কেন্দ্রের ভেতরে ৪ নম্বর বুথে প্রভাব বিস্তারকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ডা. মুজিবুল হক খান, ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমানসহ দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়। দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে মৃদু হাতাহাতি হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগেই লোকারণ্য হয়ে যায়। সবার মধ্য ফলাফল জানার কৌতূহল। এ ভিড়ে আছেন আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতাকর্মীও।
নগর পুলিশের এডিসি সাউথ শাহ মো. আবদুর রউফ বাংলানিউজকে বলেন, কেন্দ্রের ভেতরে-বাইরে তিন শতাধিক পুলিশ রয়েছে। বাইরে সাদা পুলিশে প্রচুর পুলিশ রয়েছে। কে কী করছে সব তথ্য আমাদের কাছে আছে। পুলিশ ছাড়াও বিপুলসংখ্যক র্যাব সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য রয়েছেন জামালখান এলাকায়।
বিএমএর সভাপতি প্রার্থী মুজিবুল হক খান জানান, বিএমএর ঐতিহ্য অনুযায়ী এবারও দুপুরে চার হাজার লোকের মেজবানের আয়োজন করা হয়েছে।
চমেক পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্রের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. আনজুমান আরা খুব খুশি খাস্তগীর স্কুলে কেন্দ্র হওয়ায়। সেলফি তোলার ফাঁকে বাংলানিউজকে বললেন, ১৯৮২ সালে এ স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেছি। আর আসা হয়নি প্রিয় এ ক্যাম্পাসে। আজ ভোট দিতে এসে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছি।
ভোটাররা জানিয়েছেন, নজিরবিহীন নিরাপত্তায় এবার ভোট হয়েছে বিএমএর। কেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরাও। এতে স্বস্তি বোধ করছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৬
এআর/আইএসএ/টিসি