চট্টগ্রাম: কুমিল্লা ইপিজেডে অবস্থিত ক্যাট গার্মেন্টস কোম্পানি লিমিটেড’র নামে আমদানি করা সেই কন্টেইনারে সাতটন পাকিস্তানি কসমেটিক্স ও ওষুধ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার পণ্য চালানটির কায়িক পরীক্ষার পর এ বিষয়ে নিশ্চিত হয় চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তারা।
এর আগে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ও সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠানের অসহযোগিতার কারণে দুই দফা সময় দিয়েও চট্টগ্রাম বন্দরে থাকা কন্টেইনার চালানটির কায়িক পরীক্ষা করতে পারেনি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর শাখার যুগ্ম কমিশনার মু.রইচউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে মিথ্যা ঘোষণায় ২০ ফুটের কন্টেইনারে করে পাকিস্তানি কসমেটিক্স ও ওষুধ নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, ক্যাট গার্মেন্টস কোম্পানি লিমিটেড’র নামে আমদানি করা পণ্যের কন্টেইনার (ওয়াইএমএলইউ-৩১৩৬১৯১) চালানটি বন্দরে পৌঁছার পর গত ১১ ডিসেম্বর আমদানিকারকের পক্ষে পণ্য খালাসে বিল অফ এন্ট্রি (সি-২৩২৯৪৮) দাখিল করে সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান খলিল ট্রেডার্স।
বিল অফ এন্ট্রি দাখিলের পর চালানটিতে ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য রয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে চালানটি খালাস কার্যক্রম স্থগিত করে কন্টেইনারটি বন্দরের নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়।
কাস্টমসের এআইআর শাখা সূত্রে জানা গেছে, চালানের খালাস প্রক্রিয়া স্থগিত করে গত ১৮ ডিসেম্বর শতভাগ কায়িক পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি চিঠি দেওয়া হলেও সেদিন কায়িক পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। বুধবার চালানটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম বন্দরকে চিঠি দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেদিনও আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কোন প্রতিনিধি উপস্থিত না থাকায় কায়িক পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার কায়িক পরীক্ষা করে ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৬
এমইউ/টিসি