ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নগরী মিলেছে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে

তাসনীম হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৬
নগরী মিলেছে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে মঞ্চে মাইলস, ছবি: সোহেল সরওয়ার (বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম)

প্রথমেই নামগুলো একবার দেখে নেওয়া যাক। নগর বাউল থেকে অর্থহীন-মাইলাস, চিরকুট থেকে নেমেসিস-শূন্য। এখানেই শেষ নয়। আছেন বাপ্পা মজুমদার, এলিটা করিম আর কনাও। যেন পুরো বাংলাদেশের সংগীত জগতের রথি মহারথীদের একাংশই হাজির বন্দরনগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে। এই মহামিলনের একটাই উপলক্ষ-চট্টগ্রামবাসীর সাথে রবির দৃঢ় সম্পর্ক উদযাপন করতে আয়োজিত ‘ডাকছে চট্টগ্রাম’ শিরোনামের কনসার্ট।

চট্টগ্রাম: প্রথমেই নামগুলো একবার দেখে নেওয়া যাক। নগর বাউল থেকে অর্থহীন-মাইলাস, চিরকুট থেকে নেমেসিস-শূন্য।

এখানেই শেষ নয়। আছেন বাপ্পা মজুমদার, এলিটা করিম আর কনাও।
যেন পুরো বাংলাদেশের সংগীত জগতের রথি মহারথীদের একাংশই হাজির বন্দরনগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে। এই মহামিলনের একটাই উপলক্ষ-চট্টগ্রামবাসীর সাথে রবির দৃঢ় সম্পর্ক উদযাপন করতে আয়োজিত ‘ডাকছে চট্টগ্রাম’ শিরোনামের কনসার্ট।

একসঙ্গে এতগুলো ব্যান্ড আর শিল্পীর পরিবেশনা বন্দরনগরী একসঙ্গে কবে দেখেছে তা হয়তো খুঁজে বের করতে গুগলে বিস্তর ঘাঁটাঘাটি করতে হবে। তাই ফলাফল যা হবার তাই। পুরো স্টেডিয়ামেই উপচে পড়া ভিড়। বহুদিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকা এই স্টেডিয়াম উপচে পড়া দর্শক না দেখার যে ‘অভাবে’ ভুগছিল তা শুক্রবারের রাতে সেটা পুষিয়ে দিল। ২০ হাজার ধারণ ক্ষমতার এই স্টেডিয়ামের গ্যালারির কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। সঙ্গে মাঠজুড়ে আরও হাজারও মানুষ।

বাবার কোলে করে শিশু, মায়ের হাত ধরে ছেলে-সঙ্গে তরুণ থেকে তরুণি। কে ছিল না এই উৎসবে। পুরো বন্দরনগরীর সব স্রোত যেন মিলে গেছে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে।

শুক্রবার বিকেল চারটা থেকেই শুরু হয় এই কনসার্টের। শুরুতেই বাপ্পা মজুমদার। এবং বাপ্পার কণ্ঠ থেকে প্রথম যে গানটা বের হল-‘মন ছুঁয়েছো মন দিয়েছি। ’ বাপ্পা তার আরও কয়েকটি শ্রোতাপ্রিয় গান গেয়ে শোনান। এরপর পরেই মঞ্চে এসে এলিটা গান তার জনপ্রিয় গান ‘হূদয়ের ঝড়ে আকাশ-পাতাল কত ডাকাডাকি’ গানটি। এরপর মঞ্চ মাতান কনা।

এর পরেরটা ব্যান্ড ‘যুগ’। প্রথমেই শূন্য, তারপর চিরকূট, মাইলস, নেমেসিস আর নগর বাউল। এভাবে রাত ১১ টা পর্যন্ত চলবে গানের আসর।

শুধু গানে সীমাবদ্ধ ছিল না এই অনুষ্ঠান। এত বন্দরনগরীর ৩৫ জন কৃতি সন্তানকে সম্মাননা জানানো হবে। ব্যবসা, ক্রীড়া, সঙ্গীত, শিক্ষা, শিল্প, নারী উন্নয়ন, সাংবাদিকতা, সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য এই বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সম্মাননা জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এছাড়া রবি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহ্‌তাব উদ্দিন আহমেদ, চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড পিপল অফিসার মতিউল ইসলাম নওশাদ ও অপারেটরটির সিনিয়র লিডারশিপ টিম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন এরকম একটি আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি চট্টগ্রামবাসীকেও তিনি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠান উপভোগ করায় ধন্যবাদ জানান।

এদিকে এই কনসার্ট উপভোগ করতে আসার সুযোগ পাওয়া রবির গ্রাহকরা বিকেল তিনটা থেকেই এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ঢোকার জন্য লাইনে দাড়ান। তাদের সেই লাইন স্টেডিয়াম ছাড়িয়ে আশপাশের এলাকাসহ কাজির দেউড়ি মোড় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে তারা উপভোগ করেন শিল্পীদের পরিবেশনা।

দেশের এক নম্বর নেটওয়ার্কের পথে এগুচ্ছে রবি : রবি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহ্‌তাব উদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, আমরা ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের এক নম্বর নেটওয়ার্ক হয়ে গেছি। তবে আমরা এতে সীমাবদ্ধ নেই। আমরা পুরো বাংলাদেশের এক নম্বর নেটওয়ার্ক করার দিকে এগুচ্ছি।

তিনি চট্টগ্রামে এত বড় আয়োজন করার বিষয়ে বলেন, ‘চট্টগ্রামে আমরা এক নম্বর নেটওয়ার্ক। সবকিছু চট্টগ্রাম থেকেই শুরু করতে চাই। তাই বিজয়ের এই মাসে তাদের নিয়ে রবির দৃঢ় সম্পর্ক উদযাপন করতে চাই।

এর আগে ব্যবসা, ক্রীড়া, সঙ্গীত, শিক্ষা, শিল্প, নারী উন্নয়ন, সাংবাদিকতা, সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য চট্টগ্রামের ৩৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সম্মাননা দেওয়া হয়। অতিথিরা তাদের সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৬

টিএইচ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।