ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আসামিরা দোষ চাপালেন দিয়াজের অনুসারীদের উপর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
আসামিরা দোষ চাপালেন দিয়াজের অনুসারীদের উপর

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহ হলে আসামিদের কললিস্ট ও ওইদিনের অবস্থান নির্ণয়ের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তদন্ত করতে বলেছেন এই মামলার অন্যতম আসামি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু। এতে দিয়াজের অনুসারী কয়েকজন নেতাকে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী করেন ছাত্রলীগের এই নেতা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহ হলে আসামিদের কললিস্ট ও ওইদিনের অবস্থান নির্ণয়ের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তদন্ত করতে বলেছেন এই মামলার অন্যতম আসামি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু। এতে দিয়াজের অনুসারী কয়েকজন নেতাকে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী করেন ছাত্রলীগের এই নেতা।

মঙ্গলবার(২৭ ডিসেম্বর) বিকেল চারটায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মৃত্যু ও পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে টিপু ও তার অনুসারীরা।

দিয়াজের অস্বাভাবিক মৃত্যুর দীর্ঘ ৩৭ দিনের মাথায় সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের অবস্থান জানালেন তারা।

তবে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করা লিখিত বক্তব্যের শেষে টিপুর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফজলে রাব্বী সুজনের নামও ছিল। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে সুজন কিংবা তার অনুসারীদের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরী আমাদের সহযোদ্ধা। দিয়াজ আত্মহত্যা করার পর আমাকে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তার পরিবার ঢালাওভাবে হত্যা করেছি বলে অভিযোগ করে আসছে। এমনকি আমাদের নামে মামলাও করে তার পরিবার। কিন্তু আমরা তার পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকায় এতদিন কোনো মন্তব্য করেনি।

তিনি বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যম সূত্রে জেনেছি, দিয়াজের সাথে ২৫ লাখ টাকার চেক ভাগাভাগি নিয়ে তার নিজ গ্রুপের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মো. মামুন, নাজিম, সৌমেন পালিত  ও আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক আবু বকর তোহার সম্পর্ক টানাপোড়ন শুরু হয়। পরে মামুন ও নাজিম মিলে দিয়াজকে মারধরও করে। এই জন্য তাদেরকে উদ্দেশ্য করে দিয়াজ ফেসবুকে দুইটি স্ট্যাটাসও দেন। এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হোক। ’

দিয়াজ হত্যায় যদি জড়িত থাকার সন্দেহ হয় তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে নিজের কললিস্ট যাচাইয়ের দাবি করে আলমগীর টিপু বলেন, ‘দিয়াজের পরিবারের পক্ষ থেকে আদালতে যে মামলা করা হয়েছে তাতে আমিসহ ১০ জন আসামি করা হয়েছে। আমাদের দাবি, ঘটনার সময় আমরা কে, কোথায় ছিলাম তা তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আইন প্রযোগকারী সংস্থাকে তদন্তের জন্য দাবি জানাচ্ছি। এমনকি আমরা ওই সময় কার সঙ্গে কী কথা বলেছি, সে জন্য আমাদের কললিস্ট যাচাই করা হোক। ’

দিয়াজকে ‘হত্যা করে’ তার স্নাতকোত্তরের সার্টিফিকেট ও তার বাবার মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট হত্যাকারীরা নিয়ে গেছে বলে দিয়াজের পরিবার যে অভিযোগ করেছে সে বিষয়ে আলমগীর টিপু কিছু জানেন না বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ৯৫ কোটি টাকার টেন্ডার ভাগাভাগি নিয়ে ‘দিয়াজকে হত্যার’ যে প্রশ্ন উঠছে? সে বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আলমগীর টিপু বলেন, টেন্ডার নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি। আর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কোনো টেন্ডারের সাথে জড়িত না।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মো. মনছুর আলম, সহ সভাপতি রুপু আহাসান,  সাখাওয়াত হোসেন রায়হান, আব্দুল মালেক, সাজিদুল কবির সাজিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৌশিক বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক রায়হান মাহমুদ শুভ, সমাজ সেবা সম্পাদক আযাদ রহমান, উপ গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু, উপ সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক ইমাম উদ্দিন ফয়সাল পারভেজ, উপ মানবসেবা উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিনসহ প্রমুখ।

এদিকে এইচ এম ফজলে রাব্বী সুজনের নাম থাকা সত্ত্বেও উপস্থিত না থাকা প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা টিপুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ‘সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে তার সমর্থন আছে। কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকায় আসতে পারেন নি। ’ এ বিষয়ে তিনি সুজনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

তবে এইচ এম ফজলে রাব্বী ‍সুজনের ব্যক্তিগত নম্বরে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেন নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬

জেইউ/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।