ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জেলা পরিষদ নির্বাচন

এমপির দাওয়াতে পটিয়ার জনপ্রতিনিধিরা নগরীতে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
এমপির দাওয়াতে পটিয়ার জনপ্রতিনিধিরা নগরীতে  সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী (ফাইল ফটো)

পটিয়া উপজেলার ১৮৩ জনপ্রতিনিধিকে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে এনে রেখেছেন ওই আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী।  তাদের জন্য ভূরিভোজেরও আয়োজন করেছেন এই সংসদ সদস্য। 

চট্টগ্রাম: পটিয়া উপজেলার ১৮৩ জনপ্রতিনিধিকে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে এনে রেখেছেন ওই আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী।   তাদের জন্য ভূরিভোজেরও আয়োজন করেছেন এই সংসদ সদস্য।

 

এসব জনপ্রতিনিধিরা বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিতব্য জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার।   পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার জন্য জনপ্রতিনিধিদের রাজি করাতে সংসদ সদস্য এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে পটিয়ায় আলোচনা চলছে।

জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ১৩টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদস্য মিলে ১৮৫ জন আছেন।   এর মধ্যে দুজন কারাগারে আছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে নগরীর স্টেশন রোডে পর্যটন কর্পোরেশনের মোটেল সৈকতে আসতে শুরু করেন জনপ্রতিনিধিরা।   রাত ৮টার মধ্যে অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি মোটেল সৈকতে উপস্থিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পটিয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন বেলাল।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার এমপি সাহেবের মেয়ের বিয়ে হয়েছে।   সেই বিয়েতে যারা হাজির ছিলেন না তাদের দাওয়াত দিয়ে আনা হয়েছে।   এখানে নির্বাচন নিয়ে কোন কথা হচ্ছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কাউন্সিলর বাংলানিউজকে বলেন, এমপি সাহেব সিদ্ধান্ত দিয়েছেন রাতে সবাই হোটেলে থাকবেন।   সকালে একসঙ্গে ভোট দিতে পটিয়া যাবেন।   রাতে নির্বাচন নিয়ে তিনি সবার সঙ্গে বৈঠক করবেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী প্রথমে বাংলানিউজকে বলেন, যারা এসেছে তারা তো সাধারণ মানুষ নয়।   তারা যদি একদিন শহরে এসে একটু আনন্দ-উৎসব করতে চায়, আমি বাধা দেওয়ার কে ?

পরে আবার বলেন, আমার মেয়ের ওয়ালিমায় যারা আসতে পারেনি তাদের বলেছি, তোমরা সবাই একদিন এসে খেয়ে যাও।   মোটেল সৈকতে আমি তোমাদের জন্য ব্যবস্থা করেছি।

জেলা পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সাংসদ বলেন, আমি সদস্য পদে দেবব্রত দাশকে সমর্থন দিয়েছি।   তিনি দলের নেতা হিসেবে ৮ বছর ধরে আমার সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডের সহযোগী।   একজন হিন্দুর ছেলেকে কেন মনোনয়ন দিলাম সেজন্য দলের অনেকে আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়েছে।   আমি অসাম্প্রদায়িক মানুষ, আমি তো হিন্দু-মুসলিম বিভেদ করতে পারি না।

‘আমি হিন্দুর ছেলেকে কেন নমিনেশন দিলাম, তারা টাকা ছিটিয়ে আমার প্রার্থীকে পরাজিত করতে চাচ্ছে।   মেম্বার-চেয়ারম্যানদের কাছে টাকা নিয়ে যাচ্ছে।   এভাবে তো আমি তাদের উদ্দেশ্য সফল করতে দিতে পারি না। ’ বলেন সাংসদ।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।