চট্টগ্রাম: লোকশিল্পী আবদুল গফুর হালী দেহত্যাগ করেছেন এই যে সপ্তাহ হলো। ‘কোন সাধনে তারে পাওয়া যায়’ গানটি বেঁচে থাকাবস্থায় তার কণ্ঠে সবসময় লেগেই থাকত।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) নগরীর ডিসি হিলে পৌষ উৎসবের সমাপনী দিনে আবদুল গফুর হালীকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করে বিভাস। দিনভর নানা আয়োজন শেষে রাতে ফানুস উড়িয়ে শেষ হয় বিভাসের উৎসব।
মোস্তাক মণ্ডল রিকশাওয়ালার মুখবাঁশি পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনের আয়োজন। পরে ঢাক-ঢোল বাজনা পরিবেশন করে সুনীল ও তার দল। পরে শুভ্রা সেনগুপ্তের নির্দেশনায় দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে স্কুল অব ওরিয়েন্টাল ডান্স। মূকাভিনয় পরিবেশন করেন মাইম হাসান। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন ইকবাল খোরশেদ, আহসানউল্লাহ তমাল, রাশেদ হাসান, মাহবুবুর রহমান মাহফুজ, এহতেশামুল হক ফরহাদ।
এর পরই শুরু হয় লোকশিল্পী আবদুল গফুর হালীকে সম্মাননা প্রদান পর্ব। এতে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান বলেন, গফুর হালী চট্টগ্রামের নয় দেশ তথা আন্তর্জাতিক সম্পদ ছিলেন। তাকে হারিয়ে দেশ, জাতি অনেক বড় মাপের একজন শিল্পীকে হারিয়েছেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক শামসুল আরেফিন বলেন, গফুর হালীকে চট্টগ্রামবাসীর মনে আগেও যেমন ছিলেন সারাজীবন একই ভাবে থাকবে।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ আনোয়ারা আলম, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ইকবাল খোরশেদ, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের নির্বাহী সদস্য আহসান উল্লাহ তমাল, প্রাইম ডিসট্রিবিউশন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল আলম মামুন, চট্টগ্রাম সম্মিলিত আবৃত্তি পরিষদের সভাপতি রাশেদ হাসান।
সম্মাননা পর্বে সভাপতিত্ব করেন বিভাস সভাপতি আবু সাঈদ সেলিম। এরপরে গফুর হালীকে উৎসর্গ করে সুফি গান পরিবেশন করে সুফি ব্যান্ড আসওয়াদ।
সব শেষে মঞ্চ মাতান মাগুরার বাউল রথিন মিত্র ও তার দল। এবং ফানুস ওড়ানোর মধ্য দিয়ে শেষ হয় দুই দিনব্যাপী ‘বিভাস পৌষ উৎসব ১৪২৩’।
উৎসবে সহযোগিতায় ছিল পিএইচ ফ্যামিলি, সিভিও পেট্রোক্যামিকেল, এলবিয়ন গ্রুপ, দেশ মেডিকেল, ওয়াহাব সি সার্ভিস, কোকোলোকো, জেএমজি ফার্নিচার, এয়ার বেল ও আরাফাত ফিশিং। অনলাইন মিডিয়া পার্টনার ছিল দেশের শীর্ষ অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬
জেইউ/টিসি