ট্রাকগুলোতে থাকা দায়িত্বশীলরা কোথাও প্রদর্শন করেছেন পথনাটক, কোথাও গেয়েছেন উন্নয়ন-সমৃদ্ধির গান। দেশাত্মবোধক গানের তালে তালে নাচ দেখিয়ে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছেন সাধারণ মানুষকে।
বিজয়ের মাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে নেওয়া হয় ‘বিজয়ের গৌরবে’ শীর্ষক কর্মসূচি। নগর ও জেলার প্রতিটি উপজেলায় সরকারের বিগত ১০ বছরের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির নানা তথ্য এ কর্মসূচির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।
চবি সঙ্গীত বিভাগ, নাট্যকলা বিভাগ ও চারুকলা বিভাগের ১৫০ জন শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন। গান, আবৃত্তি ও পথনাটকের মাধ্যমে উপজেলাগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দল তাদের পরিবেশনা উপস্থাপন করেন।
গত ২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ আয়োজনে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, ছিটমহল সমস্যার সমাধান, সমুদ্র বিজয়, মাধ্যমিক পর্যায়ে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ, স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, বিদ্যুত ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নয়ন, কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতি, পোষাক রফতানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান অর্জন, নারীর ক্ষমতায়ন, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেলসহ নানা অর্জনের বিষয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে উপস্থাপন করেন শিক্ষার্থীরা।
নগরের কোতোয়ালী, দেওয়ানহাট, বারেক বিল্ডিং, প্রেসক্লাব, অলংকারসহ প্রায় অর্ধশত মোড়ে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে এসব তথ্য উপস্থাপন করে। এছাড়া পটিয়া, চন্দনাইশ, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, রাউজান, মিরসরাই, সীতাকুণ্ডসহ বিভিন্ন উপজেলায়ও গান, নাচ, পথনাটক, আবৃত্তি’র মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন চিত্র উপস্থাপন করে তারা।
প্রতিটি অনুষ্ঠানের আগে সংক্ষিপ্ত সভাও অনুষ্ঠিত। এসব সভায় মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার নানান দিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর গত ১০ বছরের দেশ যতটুকু এগিয়েছে, তা বিগত সময়ে সম্ভব হয়নি। অতীতের বিভিন্ন বৈধ-অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থেকে দেশকে এতটুকু এগিয়ে নিতে পারেনি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণের পর পাল্টে দিয়েছেন দেশের চিত্র।
তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে চট্টগ্রামের মানুষের সামনে এসব অর্জন ও সমৃদ্ধির গল্প তুলে ধরা জরুরি বলে মনে করেছি আমরা। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত, চারুকলা ও নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে বৃহৎ পরিসরে সাংস্কৃতিক দল গঠন করে চট্টগ্রাম নগর ও জেলার প্রায় ৫০টি স্থানে সরকারের উন্নয়ন চিত্র সাধারণ মানুষের মাঝে উপস্থাপন করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮
জেইউ/এসি/টিসি