ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘ডেথ প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি করতে চেয়েছিলো ঐক্যফ্রন্ট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৮
‘ডেথ প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি করতে চেয়েছিলো ঐক্যফ্রন্ট বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির নামে ঐক্যফ্রন্ট সারাদেশে ‘ডেথ প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি করতে চেয়েছিলো বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

চট্টগ্রাম-৯ আসনে সদ্য জয়ী হওয়া নওফেল সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় নগরের কে সি দে রোড এলাকায় নিজ নির্বাচনী কার্যালয়ে এসব কথা বলেন।

নওফেল বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য নির্বাচন।

কারণ এই প্রথম একটি রাজনৈতিক সরকারের অধীনে সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। অর্থাৎ প্রাথমিকভাবে সবার আস্থা ছিলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।
এ কারণে সবাই নির্বাচনে এসেছেন।

নির্বাচনী কার্যালয়ে নেতৃবৃন্দের সাথে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।  ছবি: উজ্জ্বল ধরতিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা যখন শুরু হলো-আমরা দেখলাম অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কিছু কিছু রাজনৈতিক দল তাদের ফ্রন্টের মাধ্যমে প্রচারণা থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেদের বিরত রেখেছে। তখন সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমাদের মনেও প্রশ্ন জাগলো, তারা কেনো নিজেদের নির্বাচনী প্রচারণা থেকে বিরত রাখছে?

নওফেল বলেন, এর মাধ্যমে তারা দেখাতে চেয়েছিলো-নির্বাচনী প্রচারণায় আমরা তাদের সুযোগ দিচ্ছি না। তাদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি নেই। কিন্তু লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির কথা বলতে বলতে শেষ পর্যন্ত তারা নিজেরাই সহিংসতা করলেন। সারাদেশে ৯জন মানুষকে হত্যা করলেন। অর্থাৎ যারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চান, তারা ডেথ প্লেয়িং ফিল্ডই চেয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, তরুণ ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা ছিলো। সরকার পরিবর্তন হলে দেশে বড় আকারের বিশৃঙ্খলা হতে পারে, রাহাজানি হতে পারে, প্রাণহানি হতে পারে, সহিংসতা হতে পারে। এসব হলে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো, কর্মসংস্থান হবে না, দেশ পিছিয়ে পড়বে। যার কারণে অনেক তরুণ বিএনপি সমর্থককেও আমরা দেখেছি নৌকায় ভোট দিতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৮
এমআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।