ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তামাকের কারণে দেড় লাখ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে দেশে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
তামাকের কারণে দেড় লাখ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে দেশে ইপসা আয়োজিত মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে অতিথিরা।

চট্টগ্রাম: তামাক ব্যবহারের কারণে প্রতি বছর দেশে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বলে একটি বেসরকারি সংস্থার জরিপে উঠে এসেছে। ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন (ইপসা) নামক সংস্থাটি এ জরিপ প্রকাশ করে।  

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে ‘চট্টগ্রাম শহরের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রতিপালনের অবস্থা’ শীর্ষক আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়। এতে সহযোগিতা করে ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস।

ইপসার প্রোগ্রাম অফিসার মো. ওমর শাহেদ হিরোর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন উপ পরিচালক নাছিম বানু।

নাসিমা বানু বলেন, নগরের প্রায় শতভাগ পাবলিক জায়গা ও পরিবহনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন মানা হয় না।

এরমধ্যে ৯৯ ভাগ সরকারি অফিস, শতভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৯৭ শতাংশ স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র, ৯৯ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শতভাগ গণপরিবহনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গ হচ্ছে।

‘ধূমপান হচ্ছে ৫৪ ভাগ সরকারি অফিস, ৮১ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৩৪ ভাগ স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র ও ৮৫ ভাগ গণপরিবহনে। ’

তিনি জানান, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী সকল পাবলিক জায়গা ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান থেকে বিরত থাকার সতর্কতামূলক নোটিশ দেয়া বাধ্যতামূলক হলেও এই নিয়ম মানছেন না কেউ। ৯৮ ভাগ সরকারি অফিস, শতভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৯৪ ভাগ স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র, ৯৮ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শতভাগ গণপরিবহনে সতর্কতামূলক নোটিশ টাঙানো হচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইপসার প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান। তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। তবে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত না হলে এ লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। দেশে তামাক ব্যবহারের কারণে প্রতি বছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ এখন সময়ের দাবি।

সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ ব্যক্তিত্ব হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ওমর কায়সার। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গের চিত্র তুলে ধরে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন সিটিএফকের গ্র্যান্টস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া, এন্টি ট্যোবেকো মিডিয়া অ্যালায়েন্সের আহ্বায়ক আলমগীর সবুজ, সদস্য লতিফা আনসারি রুনা প্রমুখ।

ইপসা ২০০৯ সাল থেকে চট্টগ্রামে তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। চলতি বছর জুন মাসে তামাকমুক্ত চট্টগ্রাম শহর গড়ে তোলার লক্ষে চট্টগ্রামে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রতিপালনের অবস্থা নিরুপণে ইপসা এ জরিপ পরিচালনা করে।

জরিপের কাজে ২৮২টি সরকারি অফিস, ১২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ১৮৭টি স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র, ৪২৩টি রেস্টুরেন্ট ও ৪১৯টি পাবলিক বাস থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
জেইউ/এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।