রোববার (১৫ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণ করে আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু বলেন, ছাত্র রাজনীতি দিয়ে শুরু করে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছিলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।
আমির হোসেন আমু বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরীর রাজনীতি ছিল ব্যতিক্রমধর্মী, সৃষ্টিধর্মী ও সেবাধর্মী। সিটি মেয়র থাকার সময় এ শহরে শিক্ষার আলো ছড়িয়েছেন, অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেছেন। জনগণের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কাজ করেছেন। তিনি শ্রমিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি বলেন, আমি মহিউদ্দিন চৌধুরীকে ক্ষেপাতাম এই বলে-সুযোগ পেলে তিনি চট্টগ্রামের স্বাধীনতাই চাইতেন। চট্টগ্রামকে এতটাই ভালোবাসতেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। ১৯৯৮ সালে জাপান গিয়ে বুঝতে পেরেছিলাম চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য তিনি কী কী করেছেন। চট্টগ্রামের স্বার্থে বন্দর ও এয়ারপোর্ট সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারের বিরোধিতা করতেও দ্বিধা করেননি মহিউদ্দিন চৌধুরী। মেয়র থাকাকালীন চট্টগ্রামের কোনো প্রকল্প নিয়ে একনেকে তদবির করতে যাননি। তিনি নিজের উদ্যোগে উন্নয়ন কাজ করতেন। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকা অবস্থায়ও মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রামের মেয়র হয়েছিলেন গণমানুষের নেতা ছিলেন বলে।
আমির হোসেন আমু বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরী মেয়র থাকার সময় দোকানের ছোট ছোট সাইনবোর্ডের জন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষে কোনো ট্যাক্স নিতেন না। গরীব রিকশা চালকের রিকশার লাইসেন্স নবায়নের জন্য কোনো টাকা নিতেন না। এভাবেই তিনি সেবাধর্মী রাজনীতি করেছেন।
তিনি বলেন, মহিউদ্দিন চট্টগ্রামকে এতটাই ভালোবাসতেন যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শুধু চট্টগ্রামে থাকার জন্য।
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সন্তান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম।
সভায় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, অ্যাডভোকেট সুনীল সরকার, সহ-সভাপতি ও সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীন ও এমএ লতিফ, মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সিডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
এসকে/এসি/টিসি