সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রদর্শনীতে ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে মার্কিন সিনেটর ও বিভিন্ন জনের বক্তব্যের দলিল, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশ সরকার কতৃক প্রকাশিত প্রকাশনা সমূহ- বাংলাদেশ শোষণের চিত্র, জয় আমাদের কব্জায়, শত শোষণেও বাংলাদেশ স্বর্ণ প্রসবিনী’ দেখানো হয়।
মুক্তি যুদ্ধের পক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রকাশনা- সংগ্রামী অভিনন্দন, ডেড লাইন বাংলাদেশ, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের ভাষণের পাণ্ডুলিপি, স্বাধীন বাংলা বেতারের দলিলপত্র, মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত বীর সৈনিকদের তালিকা, মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণের চিত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের সংরক্ষিত আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র ও চিত্র প্রদর্শনীতে এসে মুগ্ধ শিক্ষার্থীরাও। চবির রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দলিল তরুণ শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরতে প্রশাসনের এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। যে বিষয়গুলো আমরা বইয়ে পড়েছিলাম সেগুলো এখন দেখার সুযোগ হচ্ছে।
চবির কেন্দ্রীয় যাদুঘরের পরিচালক ড. মো. শায়রুল মাশরেক বাংলানিউজকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অনেক দুস্প্রাপ্য দলিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। সাধারণত মানুষের এসব দলিলপত্র দেখা হয় না। যার ফলে অনেকে মুক্তিযুদ্ধের অনেক ইতিহাস জানেন না।
তিনি বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে আমরা প্রতিবছর এ ধরণের আয়োজন করে থাকি। তবে আগে এ প্রদর্শনী শুরু হতো ১৬ ডিসেম্বরের একদিন পরে। কিন্তু এ বছর আমরা ১৬ ডিসেম্বরেই প্রদর্শনী শুরু করেছি। যাতে বাইরের মানুষও এ বিষয়গুলো জানতে পারেন।
আগামী ১৯ তারিখ পর্যন্ত এ প্রদর্শনী চলবে। এতে প্রায় দুই শতাধিক দলিলপত্র, প্রকাশনা, মুক্তিযুদ্ধকালীন বহিঃবিশ্বের সিনেটরদের বক্তব্য স্থান পেয়েছে। সঙ্গে আছে শতাধিক স্থির চিত্র।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
এমআর/টিসি