ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘স্বাধীনতার জন্য এত লোকের আত্মদানের নজির আর নেই’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
‘স্বাধীনতার জন্য এত লোকের আত্মদানের নজির আর নেই’

চট্টগ্রাম: স্বাধীনতার জন্য এত লোকের আত্মদানের নজির পৃথিবীতে আর নেই-এমন মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. অনুপম সেন। 

তিনি বলেছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ বাঙালি শহীদ হয়, ২ লক্ষ মা-বোন সম্ভ্রম হারান। বিশ্বের ইতিহাসে স্বাধীনতার জন্য এত আত্মদানের, এত সম্ভ্রমহানীর নজির আর কোথায়ও নেই।

 

বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) নগরীর জিইসি মোড়স্থ প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর প্রাক্কালে ড. অনুপম সেন এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই এদেশ ও এদেশের মানুষকে এই পরাধীনতা থেকে, এই শোষণ থেকে মুক্তি দেন।

১৯৭১ সালে তার নেতৃত্বে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ, গণযুদ্ধ। তার ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারপর দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের মাধ্যমে তারা অর্জন করে স্বাধীনতা, অর্জন করে বিজয়।

ড. সেন বলেন, শতাব্দীর পর শতাব্দী বাঙালিরা পরাধীন ছিল। ইংরেজরা প্রায় ১৯০ বছর এদেশকে পরাধীন করেছে, শোষণ করেছে। তারা ৫০০ কোটি পাউন্ডের সম্পদ এদেশ থেকে পাচার করেছিল ইংল্যান্ডে। ইংরেজদের পরে আসে পাকিস্তান। তারা ২৩ বছর এদেশকে শোষণ করে। এদেশের টাকায় সেখানে নির্মিত হয় তারবেলা বাঁধ; গড়ে উঠে করাচি, রাওয়ালপিণ্ডি ও ইসলামাবাদ। বস্তুত বাঙালির এই পরাধীনতার ইতিহাস বড়ই করুণ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করার পরে ইউনিভার্সিটির কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণিত বিভাগ, তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগ, ইংরেজি বিভাগ, ব্যবসা-শিক্ষা অনুষদ, আইন অনুষদ, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, স্থাপত্য বিভাগ, অর্থনীতি বিভাগ, সোস্যালজি এন্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।  

এ সময় ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর এ কে এম তফজল হক, ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম, প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ,  ব্যবসা-শিক্ষা অনুষদের সহকারী ডিন মঈনুল হক, প্রক্টর আহমদ রাজীব চৌধুরী, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইফতেখার মনির, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান তানজিনা আলম চৌধুরী, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সাদাত জামান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও উপাচার্যের উপদেষ্টা মো. আবু তাহের, রেজিস্ট্রার খুরশিদুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শেখ মুহাম্মদ ইব্রাহিম এবং ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান কাউসার আলম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।