ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছবি তুলে পার পাওয়ার সুযোগ নেই: মেয়র নাছির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
ছবি তুলে পার পাওয়ার সুযোগ নেই: মেয়র নাছির বক্তব্য দেন চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

চট্টগ্রাম: সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, রাজনৈতিক ব্যক্তি বা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছবি তুলে কোনো সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ীর পার পাওয়ার সুযোগ নেই।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) আগ্রাবাদ সিডিএ ১৫ নম্বরে সিএমপির উপ-কমিশনার (পশ্চিম) এর নবনির্মিত কার্যালয় উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মেয়র বলেন, কোথাও গেলে আমরা জিম্মি হয়ে পড়ি।

পেছনে দাঁড়িয়ে অনেকে ছবি তুলে ফেলে। সে ছবি আবার ফেসবুকে প্রচার করে।
যিনি ছবি তুলছেন তাকে তো চিনিওনা। তার কপালে লেখা্ নেই তিনি কেমন! সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ীরা মনে করেন, রাজনৈতিক ব্যক্তি বা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছবি তুললে হয়তো তার অপকর্ম আড়ালে থাকবে। এমন দিন নেই।

তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন- কিছুদিন আগে অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন। তাদেরও তো প্রভাবশালীদের সঙ্গে ছবি রয়েছে। তারা কি পার পেয়েছে? প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযানে অপকর্মকারীরা কেউ পার পাবে না।

আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, খারাপ লোকদের দলীয় পদে আনতে চাই না। খারাপ লোকদের বাদ দিলে অন্যরা আবার তাদের আশ্রয় দেন। অনেকে তাদের জন্য মায়াকান্না করেন।

সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বলেন, কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তির নামে যদি কেউ মাদক ব্যবসা করে তাকে আমরা না বলবো। আমাদের পুলিশ সদস্যের যোগসাজসে বা তার ছত্রছায়ায় যদি কেউ মাদক ব্যবসা করে তাকে না বলুন।

বক্তব্য দেন সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।  তিনি বলেন, আমরা জানি, মাদক ব্যবসার অন্তরালে থাকেন প্রভাবশালীরা। সাবধান হোন। আপনাদের সম্পর্কে আমাদের জানা রয়েছে। কেউ রেহাই পাবেন না। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ- কোনো মাদক ব্যবসায়ী, খারাপ লোককে নেতৃত্বে আনবেন না।

সিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কখনও যখন কোনো ঘটনা ঘটে স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশের পৌঁছাতে যদি সামান্য দেরি হয় তবে সাধারণ মানুষ মনে করে পুলিশ মনে হয় তাকে সহযোগিতা করলো না। আসলে ব্যাপারটি তেমন নয়, আমাদের সীমাবদ্ধতার কারণে এমনটি হয়। আমাদের জনবল, যাতায়াতের সমস্যা এটি।

তিনি বলেন, অনেক কষ্টে যখন কোনো পুলিশ সদস্য আসামি গ্রেফতার করতে পারে বা কোনো ক্লু-লেস মামলার রহস্য উদঘাটন করতে পারে তখন মা হওয়ার মতো আনন্দ পান আমাদের পুলিশ সদস্যরা। কিন্তু আইনের ফাঁকফোকরে যখন দুই-তিন মাস পর ওই আসামি বের হয়ে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করে তখন সাধারণ মানুষ মনে করে পুলিশ মনে হয় তাকে ছেড়ে দিতে সহায়তা করেছে। বিষয়টি মোটেও তেমন নয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিএমপির উপ-কমিশনার (পশ্চিম) মো. ফারুক-উল-হক। বক্তব্য দেন সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আমেনা বেগম, অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) শ্যামল কুমার নাথ, চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মো. মাহাবুবুল আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, চসিকের প্যানেল মেয়র নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, আগ্রাবাদ মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আনোয়ারা আলম ও সিডিএ আরাসকার ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়াকত আলী।

অনুষ্ঠানে উপ-কমিশনারবৃন্দ, কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, আবিদা আজাদ, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক ও মহানগর কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্য সচিব অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সিএমপির উপ-কমিশনার (পশ্চিম) এর নবনির্মিত কার্যালয় উদ্বোধন করেন সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
এসকে/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।