রেলওয়ে সূত্র জানায়, সিলেট রুটে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মিলিয়ে ৬টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম থেকে সিলেট রুটে চলাচল করছে পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেস, ঢাকা থেকে সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস, জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস ও কালনী এক্সপ্রেস।
যাত্রীদের অনেকদিনের দাবি, চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে নতুন ট্রেন যুক্ত করা। কারণ চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে দুটি ট্রেনের কথা বলা হলেও ট্রেন চলাচল করে মাত্র একটি।
শুধু তাই নয় ঢাকা-সিলেট রুটে একসময় এসি বগি থাকলেও তা খুলে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া জনপ্রিয় কালনী এক্সপ্রেস প্রথম শ্রেণির আন্তঃনগর হলেও এখন চলছে লোকাল ট্রেনের মতোই। ৮টি কোচ দিয়ে চলছে ট্রেনটি।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) নাসির উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ইন্দোনেশিয়া থেকে ২৫০টি নতুন কোচ আমদানি শুরু হয়েছে। এসব কোচ দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরসহ নতুন আরো বেশ কয়েকটি রুটে ট্রেন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, রেলওয়েকে গতিশীল করতে কাজ করছে সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা কোচগুলো দিয়ে নতুন একাধিক ট্রেন চালু করা হবে। ঢাকা-তারাকান্দি-বঙ্গবন্ধু সেতু রুটে এক জোড়া ও ঢাকা-নোয়াখালী রুটে এক জোড়া নতুন ট্রেন চালু করার পর চট্টগ্রাম-সিলেট রুটেও একটি নতুন ট্রেন চালু করার পরিকল্পনা আছে।
তিনি বলেন, যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে। তবে নন এসিতে এখনও ৩০ ভাগ স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়া হচ্ছে। সেগুলোও শিগগিরই বন্ধ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
জেইউ/এসি/টিসি