ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন, কারণ খুঁজতে বললেন মন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন, কারণ খুঁজতে বললেন মন্ত্রী বক্তব্য দেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।

চট্টগ্রাম: দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান নিয়ে উঠা প্রশ্নের কারণ খুঁজতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেছেন, আমরা স্বাবলম্বী হয়েছি। এতো অর্জন আমাদের। এরপরেও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ এর প্রকৃত কারণ খুঁজতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী রজতজয়ন্তী উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এম এ মান্নান বলেন, প্রতিটি দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্র রোল মডেল খোঁজে।

সেটা নিজেদের মধ্য থেকেই। কিন্তু আমরা স্বদেশের ঠাকুর ফেলে, বিদেশের কুকুর ধরি।
রোল মডেল, গুণীজন, বিজ্ঞানী, নেতা- সব আমাদের দেশেই আছে। সেখান থেকেই খুঁজে বের করতে হবে।

তিনি বলেন, ৫০ বছর আগে নিজ ভূমিতে আমরা পরাধীন ছিলাম। এখনের মতো এতো স্বাভাবিকভাবে মানুষ মিলিত হতে পারতো না। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের দুঃসময়ে মানুষ রোল মডেল খুঁজে পেয়েছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে। যার নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা লড়াই করে স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি।

‘আজ আমরা স্বাধীন। একটা জাতি পূর্ণ শক্তি নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর এটাই শ্রেষ্ঠ সময়৷ কিন্তু একটি মহল তরুণদের চিন্তা ধারাকে ভিন্ন পথে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। কাজেই জঙ্গিবাদ ও জাতি বিধ্বংসী কাজ থেকে তরুণদের সাবধান থেকে গঠণমূলক কাজে সম্পৃক্ত হতে হবে। একুশ শতকের উপযোগী করে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হবে। ’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, মননশীল কাজে নিজেদেরকে নিয়োজিত করে দেশের উন্নতি সাধনে ব্রতী হতে হবে। একটা সময় পরাধীনতা আমাদের সকল কাজে প্রভাব ফেলেছিলো। লেখাপড়া, গবেষণা, শিল্প-সাহিত্য সকল ক্ষেত্রেই একটি অদৃশ্য বাধা আমাদের মাঝে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করত৷ এখন আর সে ধরনের পরিবেশ নেই।

স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।

তিনি বলেন, আপনারা সাংবাদিকতা নিয়ে পড়ছেন। সাংবাদিকতাকে রাষ্ট্রের ৪র্থ স্তম্ভ বলা হয়। সংসদ, আইন ও আদালতের পরেই সাংবাদিকতাকে বিবেচনা করা হয়। সাংবাদিকতার মাধ্যমে একটি দেশের নাগরিকের মতামত প্রকাশিত হয়। আমরা সাংবাদিকদের কাছে বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদ আশা করি৷

অনুষ্ঠানে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার মানোন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করছি। শিক্ষার্থীদের মেধা, মনন ও উন্নয়নে- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একটি পরিবেশ গড়ে তুলতে চাই যেখানে আমাদের শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য হবে জ্ঞান অর্জন করা।

বিভাগের ৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাজুল ইসলাম ও বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারজানা করিমের সঞ্চালনায় এবং বিভাগের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম।

স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা  বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শিমুল নজরুল এবং সাধারণ সম্পাদক হামিদ উল্ল্যাহ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রজতজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভাগের পাঁচ কৃতী শিক্ষার্থীকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। বিকেল সাড়ে ৩টায় বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পর্ব ও ব্যন্ড দল বে অব বেঙ্গল’র পরিবেশনের মধ্য দিয়ে প্রথমদিনের উদযাপন শেষ হয়।

রজতজয়ন্তীর দ্বিতীয় দিন ২০ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্ল’র বে ভিউতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ পর্ব এবং বিকেল ৩টায় ব্যন্ড দল আভাস'র পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক পর্বের মধ্য দিয়ে শেষ হবে রজতজয়ন্তীর দুই দিনব্যাপী উৎসব।

বাংলাদেম সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।