বুধ ও বৃহস্পতিবার (১৮-১৯ ডিসেম্বর) ৯টি পচা পণ্য মাটি চাপা দিয়ে কনটেইনার খালি করা হয়েছে।
কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মাজেদুল হক বাংলানিউজকে জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্দেশনা অনুযায়ী বন্দর কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ অধিদফতর, জেলা প্রশাসন, সিএমপি, চেম্বারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে পচা মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংসের মাধ্যমে কনটেইনার খালি করার জন্য।
তিনি জানান, হালিশহরের টোল রোডের আবদুর রহমান ডিপোর পাশে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে স্ক্যাভেটার দিয়ে গর্ত খুঁড়ে নির্ধারিত কনটেইনারগুলোর পণ্যসামগ্রী ঢেলে মাটি চাপা দেওয়া হচ্ছে। এরপর খালি কনটেইনার বিভিন্ন বেসরকারি আইসিডি বা বন্দরের ইয়ার্ডের নির্দিষ্ট স্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, ধ্বংসের জন্য বাছাই করা কনটেইনারগুলোতে আপেল, কমলা, মাল্টা, মুরগির খাবার বা সয়াবিন, কসমেটিকস, পশুখাদ্য মিট অ্যান্ড বোন মিল ইত্যাদি রয়েছে। এর মধ্যে খাদ্যপণ্যগুলো পচে গলে গেছে। প্রসাধন ও অন্যান্য সামগ্রী মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে পড়েছে।
একজন সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের মালিক বাংলানিউজকে বলেন, আমদানি খরচের তুলনায় দেশের বাজারে কোনো পণ্যের দাম কমে গেলে বেশি লোকসানের আশঙ্কায় অনেক সময় আমদানিকারক পণ্য চালান খালাস করে না বন্দর থেকে। আবার মিথ্যা ঘোষণা, ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য, মানি লন্ডারিংসহ নানা কারণেও বন্দর থেকে চালান খালাস করে না অসাধু আমদানিকারকেরা। এতে একদিকে বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় যেমন হচ্ছে তেমনি আবার সরকারও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শিপিং এজেন্টের কনটেইনারও বছরের পর বছর বন্দরে অলস পড়ে থাকছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের ইয়ার্ডে কনটেইনার জট হচ্ছে, রেফার কনটেইনারে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে। তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্যচালান বন্দর থেকে খালাস না করলে নিলাম কার্যক্রম জোরদার করার বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
এআর/টিসি