বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় বড়দিনের তৃতীয় প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয় পাথরঘাটার পবিত্র রানি জপমালা গির্জায়। পৌরহিত্য করেন ফাদার সুব্রত বানিফাস টলেন্টিনো।
এর আগে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় গির্জায় বড়দিনের প্রথম প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। রাত ১২টায় ২য় প্রার্থনায় পৌরহিত্য করেন আর্চবিশপ মজেজ কস্তা।
নগরের পাথরঘাটা, জামালখান, পাহাড়তলী ও জুবিলি রোড এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ২০টি গির্জা রয়েছে। সবগুলো গির্জাতেই বড়দিনের প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শিশুদের হাতে সান্তা ক্লজ তুলে দিচ্ছেন উপহার সামগ্রী। দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে খাবার।
বড়দিন উপলক্ষে বিভিন্ন হোটেলেও দেওয়া হচ্ছে স্পেশাল প্যাকেজ। পাঁচতারকা হোটেল রেডিসন ব্লু বে-ভিউতে বড়দিন উপলক্ষে ১২ হাজার ২৫ টাকায় রয়েছে থাকার প্যাকেজ। অতিথিরা পাচ্ছেন ফ্রী বুফে ব্রেকফাস্ট ও ডিনার। বড়দিনের সাজে সেজেছে এই হোটেল।
বড়দিন উপলক্ষে হোটেল পেনিনসুলাও বর্ণিল সাজে সেজেছে। আয়োজন করা হয়েছে ‘সান্তাস ক্রিসমাস প্লেটার’ এর। অতিথিরা পাচ্ছেন ২০% ডিসকাউন্টে বুফে ডিনার। এই প্যাকেজটি পাওয়া যাবে ৭৯০ টাকায়। এছাড়া আয়োজন করা হয়েছে লাইভ মিউজিক শো।
নগর ও খ্রিস্টপল্লীতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে র্যাব-পুলিশ। গির্জাগুলোতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। এছাড়া নগরের বিভিন্ন এলাকায় চলছে পুলিশের চেকপোস্ট।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে নগরের জামালখান, পাথরঘাটা, গণিবেকারি মোড়, বাকলিয়া এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট পরিচালনা করছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
সিএমপির সিনিয়র সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) নোবেল চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, বড়দিন উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
এছাড়া নগরের বিভিন্ন এলাকায় র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানান র্যাব-৭ এর অপারেশন অফিসার মো. মাশকুর রহমান। নগরে র্যাবের ৮টি টহল টিম কাজ করছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯
এসি/টিসি