উদ্বোধনের পর ‘শুধু কবিতার জন্যে’ শিরোনামের উদ্বোধনী বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করেন তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের শিল্পীরা। এরপর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় সদ্যপ্রয়াত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শান্তনু বিশ্বাসের প্রতিকৃতিতে।
তারুণ্যের উচ্ছ্বাস সভাপতি কবি ভাগ্যধন বড়ুয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম, দ্রোহ ও সাম্যের কবি মোহন রায়হান, চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তারুণ্যের উচ্ছ্বাস কবিতা উৎসব উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, সংস্কৃতি সুহৃদ ডা. আলী আজগর চৌধুরী এবং জনসন অ্যান্ড জনসন ভিশন বাংলাদেশের মার্কেটিং ম্যানেজার দীপ নারায়ন চৌধুরী।
উদ্বোধনী সভায় বক্তারা বলেন, ‘কবিতা সবসময় সত্য ও সুন্দরের কথা বলে। কবিতার শক্তি অসাধারণ। আর কবিতার লাইনগুলো আবৃত্তিকারেরা যখন সাধারণের কাছে তাদের কন্ঠ দিয়ে তুলে ধরেন তখন আসলে তারা শুধু কবিতাই নয়, সত্য ও সুন্দরকেও তুলে ধরেন। তাই সুন্দরের চর্চা ও সত্যের চর্চা যতো ছড়িয়ে যাবে সমাজ ও জীবন শুদ্ধ হতে তা আরও বেশি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। ’
প্রথম দিনে আবৃত্তিতে অংশ নেন সঞ্জিব বড়ুয়া, শুভ্রা বিশ্বাস, মিলি চৌধুরী, আয়েশা হক শিমু, ফারুক তাহের, জেবুন নাহার শারমিন, অনির্বাণ চৌধুরী, শাহরীয়ার তানজিম, সাবের শাহ, রেখা নাজনীন, প্রণব চৌধুরী, মৌসুমী চক্রবর্ত্তী, লুবাবা ফেরদৌসি সায়কা, সেজুঁতি দে, শাহনাজ ঝুমু, আরমান হাফিজ, মৌসুমী দে, খাদিজা বেগম।
কবিতাপাঠ করেন আশীষ সেন, ইউসুফ মোহাম্মদ, এজাজ ইউসূফী, ফাউজুল কবির, বিজন মজুমদার, রিজোয়ার মাহমুদ, জিললুর রহমান, সেলিনা শেলী, অনুপমা অপরাজিতা, ফারহানা অনন্দময়ী, কমলেশ দাশগুপ্ত, স্বপন দত্ত, হাফিজ রশিদ খান।
ছড়াপাঠ করেন অরুণ শীল, আফম মোদাচ্ছের আলী, এমরান চৌধুরী, জসীম মেহবুব। এদিন তারুণ্যের উচ্ছ্বাস শিশু বিভাগ পরিবেশন করে ‘আজব দেশের আজব রাজা’ শিরোনামের বৃন্দ আবৃত্তি।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার আয়োজন শুরু হবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে। সকালে রয়েছে কবি-ছড়াকার-আবৃত্তিশিল্পী-সংস্কৃতিকর্মী সম্মিলন, একক ও বৃন্দ আবৃত্তি, কবিতাপাঠ ও ছড়াপাঠ। বিকেলে রয়েছে কবিতার মিছিল শিরোনামের শোভাযাত্রা। এরপর রয়েছে ‘তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের সমৃদ্ধ পথচলার একযুগ’ শিরোনামের কথামালা।
এতে প্রধান অতিথি থাকবেন দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম। সন্ধ্যার আয়োজনে আবৃত্তি পরিবেশন করবেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আমন্ত্রিত বরেণ্য ও জনপ্রিয় আবৃত্তিশিল্পীরা। আবৃত্তি পরিবেশন করবেন ভারতের দিল্লী এবং ত্রিপুরা থেকে আমন্ত্রিত শিল্পীরা।
তিনদিনের এ বর্ণিল উৎসবে প্রায় শতাধিক কবি, ছড়াকার ও আবৃত্তিশিল্পীরা মঞ্চের বিভিন্ন একক ও সমবেত পরিবেশনায় অংশ নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
এমআর/টিসি