এ ছাড়া সার্কিট হাউসের সামনে আউটার স্টেডিয়াম, আদালত ভবন ও শাহ আমানত সেতু এলাকায় বসানো হয়েছে আরও তিনটি ঘড়ি। এক্ষেত্রে ‘এ’ ক্যাটাগরির ক্লকের ক্ষেত্রে স্থাপন ও ১০০ দিন পর্যন্ত ব্যবস্থাপনায় ব্যয় হবে ৪৯ লাখ ৩০ হাজার ৬০৯ টাকা, আর প্রতিটি ‘বি’ ক্যাটাগরির ক্লকের ক্ষেত্রে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭ লাখ ৮২ হাজার ৮২৩ টাকা।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে একযোগে কাউন্ট ডাউন ক্লকগুলো উদ্বোধন করবেন।
বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ পূর্ণ হতে যাচ্ছে আগামী ১৭ মার্চ । এ উপলক্ষে ‘মুজিব বর্ষ’ ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তাই ১৭ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত বছরব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) । সরকারের অভিন্ন মডেলের ক্লক স্থাপন করা হচ্ছে চট্টগ্রামেও।
আগামী প্রজম্মের নাগরিকদের সামনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরা এবং মুজিব বর্ষকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে বাটালি হিলে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, পাহাড়তলীতে শেখ রাসেল পার্ক এবং বঙ্গবন্ধু সড়কের বড়পোল গোলচত্বরের বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
মেয়র মুজিব বর্ষকে ঘিরে মশামুক্ত পরিচ্ছন্ন সবুজ নগর, বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত অমর একুশে বইমেলাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন। এ কর্মসূচির আওতায় নগরের প্রতিটি ওয়ার্ডকে ৪ ভাগ করে প্রতিটি ভাগে রাস্তা, ফুটপাত, গলি উপগলি, নালা-নর্দমা ইত্যাদি যথাযথভাবে পরিষ্কার, মশার বংশ বিস্তার রোধ এবং মশার প্রজনন স্থান ধ্বংসকরণে কেমিক্যাল স্প্রে, বর্জ্য ফেলার স্থান ও সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন প্রতিমাসে ২ বার বিশেষ পরিষ্কারকরণ, ডোর টু ডোর সেবকদের কাজের মান বাড়াতে কর্মশালা, চসিক পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, অফিস ও শপিং কমপ্লেক্স ইত্যাদি পরিষ্কারকরণ, গৃহস্থালির বর্জ্যাদি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার বিষয়ে ‘পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করুন’, ‘চট্টগ্রাম শহরকে সুস্থ রাখুন’সহ বিভিন্ন স্লোগানে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ক্যাম্পেইন, নগরবাসীকে সম্পৃক্তকরণ, মনিটরিং ও রিপোর্টিং কার্যক্রম জোরদার, নগরকে সবুজায়ন করার উদ্যোগ ইত্যাদি রয়েছে। মুজিব বর্ষের এই কার্যক্রম সরাসরি তদারকিতে রয়েছেন সিটি মেয়র।
এ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, মুজিব বর্ষের বছরব্যাপী কর্মসূচি ও অনুষ্ঠানমালা জাঁকজমকপূর্ণ আকর্ষণীয় ও অনাড়ম্বরপূর্ণ হবে। এর জন্য চসিক যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছে। এ কথা বলা মোটেও অযৌক্তিক হবে না যে, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে যেমন বঙ্গবন্ধুকে চিন্তা করা যায় না। তেমনি বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিলে অর্থহীন হয়ে পড়বে বাংলাদেশও। এ কথা তো সত্য যে, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ বোধহয় অপূর্ণ ও অধরাই থেকে যেত। এই মহান নেতার জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনে চসিক নানা পরিকল্পনা নিয়েছে। যদি বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে তা আমাদের জীবনে কাজে লাগাতে পারি তা হবে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা ও স্মরণ করার শ্রেষ্ঠ উপায়।
চসিক সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় টাইগারপাসের চসিক সম্মেলন কক্ষে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কাউন্ট-ডাউন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
এআর/টিসি