পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে হলগুলো পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী। এ সময় তার সঙ্গে সিআইইউর বিভিন্ন স্কুলের (অনুষদ) ডিন, বিভাগীয় প্রধান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, পরীক্ষা পদ্ধতি ঠিক না থাকলে উচ্চশিক্ষায় অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী শুরুতেই ঝরে যাবে। তাই আমরা যুগোপযোগী প্রশ্নপত্র প্রণয়নের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত বিষয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ করে দিতে বদ্ধপরিকর।
সরজমিনে পরীক্ষার হলগুলো ঘুরে দেখা যায়, প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে শিক্ষার্থীদের অনেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন উত্তর লিখতে। সকাল ১০টায় ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়ে চলে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। পরীক্ষার্থীরা যখন হলরুমে, তখন বাইরে অপেক্ষা করছিলেন তাদের অভিভাবকরা।
হাবিবুর রহমান নামে চট্টগ্রাম রেলওয়ে কলোনীতে বসবাসরত একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, সেই স্কুল থেকে সন্তানকে সুশিক্ষায় বড় করবো এমনটা চাওয়া ছিলো। কলেজের গন্ডি পেরুনোর পর উচ্চশিক্ষার জন্য কোথায় যাবো তা নিয়েও ভীষণ টেনশন ছিলো। এখানে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি করাতে নিয়ে এসেছি তাকে।
নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি থেকে আসা মাহমুদা আকতার নামের অপর এক অভিভাবক বলেন, ঢাকায় যেভাবে উচ্চশিক্ষার মান বেড়েছে চট্টগ্রাম সেভাবে খুব বেশি এগুতে পারেনি। কিন্তু তার মধ্যেও যে ক’টি প্রতিষ্ঠান আছে তারা অনেক ভালো করছে। সিআইইউর শিক্ষার পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হয়েছি।
সিআইইউ কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজনেস স্কুল, স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস ও স্কুল অব ল প্রোগ্রামের অধীনে রয়েছে একাধিক বিষয়।
আছে স্কলারশীপ ও পড়ালেখার পাশাপাশি ক্যাম্পাস জবের দারুণ সুযোগ। সৃষ্টিশীল কর্মকান্ডের জন্য রয়েছে একাধিক ক্লাব সংগঠন। রয়েছে অ্যামেরিকান কর্নার, বিশাল লাইব্রেরি, প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ল্যাবসহ দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ গবেষক ও অধ্যাপকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
এমআর/টিসি