ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘চট্টগ্রামের পোশাক শিল্প নাজুক অবস্থায় রয়েছে’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২০
‘চট্টগ্রামের পোশাক শিল্প নাজুক অবস্থায় রয়েছে’ বন্ড কমিশনারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বিজিএমইএ নেতারা।

চট্টগ্রাম: দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর ও কাস্টমস সুবিধায় তুলনামূলক ভাবে খরচ কম হলেও নানা সমস্যার কারণে চট্টগ্রামের পোশাক শিল্প বর্তমানে খুবই নাজুক অবস্থায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) নব-নিযুক্ত কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট চট্টগ্রামের কমিশনার মোহাম্মদ মাহাবুবুজ্জামানের সঙ্গে বিজিএমইএ’র নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাতে এ মন্তব্য করেন আবদুস সালাম।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বর্তমানে কঠিন সময় পার করছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে অব্যাহতভাবে পণ্যের দরপতন, বিদেশি ক্রেতাদের পরিদর্শন সংস্থা অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের সংস্কার কর্মসূচি প্রতিপালন, সর্বশেষ শ্রমিকদের মজুরি ৫১ শতাংশ বৃদ্ধিসহ নানাবিধ অবকাঠামোগত সমস্যায় ব্যবসা পরিচালনা ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ।

এ অবস্থায় ব্যবসা ধরে রাখার স্বার্থে, বর্তমানে প্রায় ৪০ শতাংশ রপ্তানিকারক উৎপাদন ব্যয়ের নিচে রপ্তানি আদেশ নিচ্ছে; প্রায় ৮৭ শতাংশ বিদেশি ক্রেতা পণ্য মূল্য বাড়াননি।

উৎপাদন ব্যয়ের কমে প্রায় ৫০ শতাংশ কারখানা পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে বিগত অর্থবছরের তুলনায় বর্তমান অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে (-) ৬ দশমিক ২১ শতাংশ।

তিনি বলেন, বর্তমানে মিরসরাই ও আনোয়ারায় অর্থনৈতিক অঞ্চল, কর্ণফুলী টানেলসহ বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বিদেশি বিনিয়োগসহ নতুন নতুন শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। এ ক্ষেত্রে বন্ড কমিশনারেট কর্তৃক কার্যক্রম সহজীকরণ বিনিয়োগ ও রপ্তানি বৃদ্ধিকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

বন্ড কমিশনার মোহাম্মদ মাহাবুবুজ্জামান বলেন, জাতীয় অর্থনীতি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নসহ ব্যাপক কর্মসংস্থানে পোশাক শিল্পের অবদান অনস্বীকার্য।

তিনি দেশি শিল্প হিসাবে পোশাক শিল্পের বর্তমান মন্দাবস্থা উত্তরণে বন্ড কমিশনারেট ও বিজিএমইএ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে এবং আমদানি পণ্য চালানে এইচএস কোড সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি হলে বন্ড লাইসেন্সে এইচএস কোড সংযোজন একই কর্মদিবসে অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানান।

পারস্পরিক আলোচনা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে বিরাজমান সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন বন্ড কমিশনার।

বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি এএম চৌধুরী সেলিম, পরিচালক এএম মাহবুব চৌধুরী, অঞ্জন শেখর দাশ, সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, মঈনউদ্দিন আহমেদ মিন্টু, সাবেক পরিচালক ও কাস্টম বিষয়ক স্থায়ী কমিটি চেয়ারম্যান এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।

উপস্থিত ছিলেন কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার ম. শফিউজ্জামান ও সহকারী কমিশনার সন্তোষ সরেণ, বিজিএমইএ’র পরিচালক  মোহাম্মদ মুসা, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, মোহাম্মদ আতিক, এনামুল আজিজ চৌধুরী ও সাবেক পরিচালক লিয়াকত আলী চৌধুরী, কাজী মাহাবুব উদ্দিন জুয়েল,  কাস্টমবিষয়ক স্থায়ী কমিটির কো-চেয়ারম্যান আবদুল আলীম আরিফ, মাহফুজুর রহমান, কমিটির সদস্য মো. হান্নান, ওয়াদুদ মো. চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়:  ১৭৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।