বুধবার (৮ জানুয়ারি) নব-নিযুক্ত কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট চট্টগ্রামের কমিশনার মোহাম্মদ মাহাবুবুজ্জামানের সঙ্গে বিজিএমইএ’র নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাতে এ মন্তব্য করেন আবদুস সালাম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বর্তমানে কঠিন সময় পার করছে।
এ অবস্থায় ব্যবসা ধরে রাখার স্বার্থে, বর্তমানে প্রায় ৪০ শতাংশ রপ্তানিকারক উৎপাদন ব্যয়ের নিচে রপ্তানি আদেশ নিচ্ছে; প্রায় ৮৭ শতাংশ বিদেশি ক্রেতা পণ্য মূল্য বাড়াননি।
তিনি বলেন, বর্তমানে মিরসরাই ও আনোয়ারায় অর্থনৈতিক অঞ্চল, কর্ণফুলী টানেলসহ বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বিদেশি বিনিয়োগসহ নতুন নতুন শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। এ ক্ষেত্রে বন্ড কমিশনারেট কর্তৃক কার্যক্রম সহজীকরণ বিনিয়োগ ও রপ্তানি বৃদ্ধিকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
বন্ড কমিশনার মোহাম্মদ মাহাবুবুজ্জামান বলেন, জাতীয় অর্থনীতি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নসহ ব্যাপক কর্মসংস্থানে পোশাক শিল্পের অবদান অনস্বীকার্য।
তিনি দেশি শিল্প হিসাবে পোশাক শিল্পের বর্তমান মন্দাবস্থা উত্তরণে বন্ড কমিশনারেট ও বিজিএমইএ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে এবং আমদানি পণ্য চালানে এইচএস কোড সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি হলে বন্ড লাইসেন্সে এইচএস কোড সংযোজন একই কর্মদিবসে অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানান।
পারস্পরিক আলোচনা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে বিরাজমান সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন বন্ড কমিশনার।
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি এএম চৌধুরী সেলিম, পরিচালক এএম মাহবুব চৌধুরী, অঞ্জন শেখর দাশ, সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, মঈনউদ্দিন আহমেদ মিন্টু, সাবেক পরিচালক ও কাস্টম বিষয়ক স্থায়ী কমিটি চেয়ারম্যান এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
উপস্থিত ছিলেন কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার ম. শফিউজ্জামান ও সহকারী কমিশনার সন্তোষ সরেণ, বিজিএমইএ’র পরিচালক মোহাম্মদ মুসা, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, মোহাম্মদ আতিক, এনামুল আজিজ চৌধুরী ও সাবেক পরিচালক লিয়াকত আলী চৌধুরী, কাজী মাহাবুব উদ্দিন জুয়েল, কাস্টমবিষয়ক স্থায়ী কমিটির কো-চেয়ারম্যান আবদুল আলীম আরিফ, মাহফুজুর রহমান, কমিটির সদস্য মো. হান্নান, ওয়াদুদ মো. চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২০
এআর/টিসি