৪১ ওয়ার্ডের ১ হাজার ২৮৮টি কেন্দ্রে ৬-১১ মাসের ৮০ হাজার শিশুকে ১টি করে নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাসের শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পেইন চলাকালে শিশুকে ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে পুষ্টিবার্তা প্রচার করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) চসিক জেনারেল হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী।
তিনি জানান, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর উচ্চহার বজায় রাখা, শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি ও ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত শিশুর অন্ধত্ব প্রতিরোধ এবং পুষ্টিবিষয়ক অন্যান্য কর্মসূচি সমন্বিতভাবে বাস্তবায়নই এই ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের টিএন্ডটি কলোনি বিদ্যালয়ে ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করবেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবার ২০টির বেশি ভ্রাম্যমাণ টিম বাস, রেল, লঞ্চ স্টেশন, নগরের প্রবেশমুখ সিটি গেট, কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু, কালুরঘাট সেতু, অক্সিজেন মোড়ে ভাসমান শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াবে।
গত ২২ জুন জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে চসিক ৬-১১ মাসের ৭৮ হাজার ৫৯৯ এবং ১২-৫৯ বয়সের ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫৮২ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার ৯৯ শতাংশ।
চসিক কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক বলেন, চট্টগ্রামে প্রতিবছর উৎসবমুখর পরিবেশে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। চসিকের পাশাপাশি এ সফলতার ভাগীদার গণমাধ্যম ও নগরবাসী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চসিকের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, মেমন হাসপাতালের ইনচার্জ ডা. আশীষ কুমার মুখার্জি, ডা. মুইজ্জুল আকবর চৌধুরী, ডা. তপন কুমার চক্রবর্তী, চসিক জেনারেল হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. সুশান্ত বড়ুয়া, ডা. সুমন তালুকদার, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রহিম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২০
এআর/এসি/টিসি