মিসকিন শাহ মোল্লা (র.) চট্টগ্রামে আগত সুফি দরবেশদের একজন। মহসিন কলেজের বিপরীত দিকে পাহাড়ের ওপর শাহী মসজিদের পাশে তার মাজার।
এছাড়া জিইসি মোড়ের গরীব উল্ল্যাহ শাহ, পাথরঘাটার বদর শাহ, হালিশহরের মনির উদ্দিন রুহুল্লাহ ও বশির শাহ মাইজভাণ্ডারী, হযরত আলী শাহ, নুর আলী শাহ, দক্ষিণ কাট্টলীর আব্দুল আলী শাহ, কর্নেল হাটের মঈন উদ্দিন শাহ, অক্সিজেন এলাকার শের এ বাংলা শাহ মাজার সহ নগরের বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতে থাকা মানুষের কষ্টের শেষ নেই।
বিবিএসের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, দেশে মোট বস্তির মধ্যে ১৬ শতাংশ বা ২ হাজার ২১৬টি ছিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায়। এসব বস্তিতে ছিল মোট ১ লাখ ২৮ হাজার পরিবার। গত চার বছরে এসব পরিবারের সংখ্যা হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
এছাড়া নগরের ১৫ লাখ ভাসমান মানুষের জন্য নেই পর্যাপ্ত টয়লেট ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রায় ১০-১৫ লাখ মানুষ নগরে দৈনন্দিন কাজ সেরে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যায়। শীতের রাতে ঝুঁকি নিয়ে সড়কদ্বীপে কম্বল গায়ে ভাসমান মানুষদের শুয়ে থাকতে দেখা গেছে।
নগরের সিআরবি এলাকা, নিউ মার্কেটের পাশে ও জিপিও ভবনের নিরাপত্তা দেয়াল ঘেঁষে ফুটপাতে, টাইগার পাস মোড়ের বস্তিতে, দেওয়ানহাট এলাকায় রেললাইনের দুই পাশে, জহুর আহমেদ স্টেডিয়াম, আগ্রাবাদ হোটেলের পাশে গড়ে উঠা বিভিন্ন বস্তিতেও বসবাসকারী ভাসমান মানুষদের এখন দুর্ভোগের শেষ নেই।
রেল স্টেশনে থাকেন জমিলা খাতুন। শীতে কাঁপছিলেন তিনি। অসহায় এ মানুষ গরম কাপড়ের অপেক্ষায়। খোলা আকাশের নিচে বাস করা অনেক মানুষের কাছে শীত আসে কষ্ট নিয়ে। কোথাও শীতের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে কুকুরও আশ্রয় নিয়েছে এসব মানুষের পাশে, একটু উষ্ণতা পাওয়ার আশায়। ফুটপাত-বস্তিতে থাকা মানুষের শীত নিবারণে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে বিতরণ করা হচ্ছে শীতবস্ত্রও।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ভাসমান জনগোষ্ঠীর সুবিধার্থে আধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২০
এসএস/এসি/টিসি