শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে ইভিএমের মাধ্যমে শুরু হওয়া মক ভোটিং কার্যক্রম চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। স্থানীয় ভোটারদের সচেতন করতে এবং ভোটদানে যান্ত্রিক সমস্যা হচ্ছে দূর করতে মক ভোটিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) এই আসনে ১৭০টি ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বোয়ালখালীতে ৬৯টি, চান্দগাঁওয়ে ৬১টি ও পাঁচলাইশে ৪০টি কেন্দ্রে ভোটকক্ষ ১ হাজার ২৫২টি।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচনী প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। ১৭০টি কেন্দ্রেই মক ভোটিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ভোটাররা কীভাবে ইভিএমে ভোট দেবেন, সেটা শেখার জন্যই মক ভোটিং। জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে অথবা স্বশরীরে গিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে তারা ভোট দিতে পারবেন।
ঝুঁকিপূর্ণ ৫৮ কেন্দ্র
নির্বাচনে ৫৮টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ১৯জন ও সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে থাকবে ১৮ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এ ছাড়া নির্বাচনে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যের সমন্বয়ে ১৪টি মোবাইল ফোর্স, ৬টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র্যাবের ৬টি টহল দল এবং ৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে।
এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৯৬ জন। এর মধ্যে বোয়ালখালীর এক পৌরসভা ও আট ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৬৪ হাজার ১৩১ জন। অন্যদিকে চসিকের পাঁচ ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১১ হাজার ৮৬৫ জন।
নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মোছলেম উদ্দিন, বিএনপির আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এসএম আবুল কালাম আজাদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ আহমদ, ন্যাপের বাপন দাশগুপ্ত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তার ব্যাপারে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, আমাদের কাছে প্রতিটি কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ। সবগুলো কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
এদিকে, রোববার (১২ জানুয়ারি) ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হবে নির্বাচনী সরঞ্জাম। এছাড়া নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়ামে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
এমএম/এসি/টিসি