শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, একসময় দেশের প্রধান পরিবহন ব্যবস্থা ছিলো রেল ও নদীপথ।
বিএনপি-জামায়াত বিদেশের স্বার্থে কাজ করেছে দাবি করে তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালীন তারা রেলব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের সময় যোগাযোগ ব্যবস্থায় কোনো উন্নয়ন হয়নি। তারা দেশে বসে বিদেশের স্বার্থে কাজ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর রেলকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে গেছেন। মেট্রোরেল ও হাইস্পিড ট্রেন চলাচলের জন্য মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
‘চট্টগ্রাম-ঢাকা হাইস্পিড ট্রেনের জন্য গঠিত কমিটি ৬ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। তারপর আমরা পুরোদমে কাজ শুরু করে দেব। কারণ রেলব্যবস্থা ছাড়া উন্নত দেশ গঠন করা সম্ভব নয়’ বলেন নুরুল ইসলাম সুজন।
ট্রেনকে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার চলার উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমি চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারতসহ বিভিন্ন উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ ভ্রমণ করেছি। সম্প্রতি ভারতে ট্রেন ভ্রমণ করেছি। সেখানে ঘণ্টায় ১৬৭ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো হয়। এই ব্যবস্থা বাংলাদেশেও করা হবে। তখন চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যেতে সময় লাগবে মাত্র দুই ঘণ্টা।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ডাবল লাইনে উন্নীত করা হচ্ছে উল্লেখ নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম-আখাউড়া ডাবল লাইনে উন্নীত করা হচ্ছে। ডাবল লাইনের কাজ শেষ হলে, এখন যে সংখ্যক ট্রেন চলাচল করছে তখন এর চেয়ে ডাবল ট্রেন চালানো যাবে।
তিনি বলেন, ১৭ কোটি মানুষের দেশে রেলওয়েতে লোকবল আছে মাত্র ২৭ হাজার। অথচ কম হলেও এই সংখ্যক লোকের জন্য দেড় লাখ লোকবল প্রয়োজন। আমরা ধীরে ধীরে এ সংকট দূর করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
জেইউ/এসি/টিসি