শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জেলা পুলিশ সুপার ও অ্যাডিশনাল ডিআইজি নুরেআলম মিনা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মুক্তিযোদ্ধা মালিক খসরু, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সাহাবউদ্দিন ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘পিতা তুমি বাংলাদেশ’ ম্যুরাল উদ্বোধন শেষে মুনাজাত ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান অতিথি। তাকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত রেপ্লিকা ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন অতিথিরা।
অনুষ্ঠান শেষে মহানগর ও জেলা কমান্ডারসহ ২০৮ জন মুক্তিযোদ্ধার হাতে সম্মাননা তুলে দেন প্রধান অতিথি। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকেও স্বরাষ্ট্র সচিবকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
বক্তব্যে মোস্তাফা কামাল উদ্দীন বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে আমরা বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেতাম না। বাঙালি জাতির অধিকার আদায়সহ সার্বিক কল্যাণে বঙ্গবন্ধুই একমাত্র পথ প্রদর্শক। বঙ্গবন্ধু একটি শোষণমুক্ত ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী টানেল নির্মাণসহ অসংখ্য বড়-ছোট প্রকল্প দৃশ্যমান হচ্ছে। বেড়েছে মাথা পিছু আয়, গড় আয়ু, শিক্ষার হার, হ্রাস পেয়েছে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার। সাড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট থেকে ২৫ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন।
তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষের অঙ্গিকার, পুলিশ হবে জনতার’ শ্লোগানকে ধারণ করে পুলিশ বাহিনীকে নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে আসতে হবে। জাতির পিতার আদর্শ ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সংগ্রামী চেতনা ও সাহসী ভূমিকা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারাসহ সকলে এগিয়ে আসলে ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৩০ সালে এসডিজি অর্জন ও ২০৪১ সালে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
এসি/টিসি