চট্টগ্রাম: হাটাহাজারী ও সীতাকুণ্ড উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬টি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন।
অবৈধ ইটভাটাগুলো হলো- হাটহাজারী এলাকার সেঞ্চুরি ব্রিকস, মির্জাপুর ব্রিকস, শাহেন শাহ ব্রিকস, গাউছিয়া ব্রিকস, চট্টলা ব্রিকস ও সীতাকুণ্ড এলাকার নুরজাহান ব্রিকস।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বলে বাংলানিউজকে জানান পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম জেলার উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন।
অভিযানে ৬টি অবৈধ ইটভাটা চিমনীসহ গুঁড়িয়ে দিয়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়।
হাটহাজারী উপজেলায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারজান হোসাইন ও সীতাকুণ্ড উপজেলায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম।
প্রসঙ্গত গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে সব অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে উচ্চ আদালতে গত বছরের ২৯ নভেম্বর একটি রিট করা হয়।
জনস্বার্থে দায়ের করা এই রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে ১৪ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ ৭ দিনের মধ্যে চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
আদালতের নির্দেশ অনুসারে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদফতর ইটভাটা বন্ধের কর্যক্রম শুরু করলেও লোহাগাড়া ও চন্দনাইশ উপজেলাসহ কিছু কিছু জায়গায় ইটভাটা বন্ধ না করে শুধু জরিমানা করে।
আদালতের নির্দেশনা অনুসারে পদক্ষেপ না নেওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিল্লুর রহমান ও এসএম আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে বাদীপক্ষ উচ্চ আদালতে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করেন। সেই আবেদনে বলা হয়- জরিমানা করার পরেও উক্ত ইটভাটাগুলো আবারও চলছে এবং পরিবেশ দূষণ করছে।
৩১ জানুয়ারি বিচারপতি মো. মজিবর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানি শেষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালককে চট্টগ্রামের যেসব ইটভাটাকে জরিমানা করা হয়েছে তা সহ লাইসেন্স ছাড়া পরিচালিত সব অবৈধ ইটভাটা ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বন্ধ করে আদালতে এভিডেভিট দাখিলের নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
এসকে/টিসি